‘কমেছে আবাসন খাতে ঋণ বিতরণ’

আবাসন খাতে ঋণ বাড়াতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা থাকার পরও এই খাতে ব্যাংকগুলো থেকে ঋণ বিতরণের হার কমেছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 August 2015, 03:07 PM
Updated : 2 August 2015, 03:07 PM

২০১৪ সালে আবাসন খাতে ঋণের পরিমাণ আগের বছরের চেয়ে বাড়লেও ব্যাংকগুলোর বিতরণ করা মোট ঋণের হিসাবে দশমিক ২৭ শতাংশ কমেছে।

সম্প্রতি প্রকাশিত বাংলাদেশ ব্যাংকের ২০১৪ সালের আর্থিক স্থিতিশীলতা প্রতিবেদনে এই চিত্র উঠে এসেছে।

প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০১৪ সাল শেষে ব্যাংকিং খাতে মোট বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ছিল ৫ লাখ ৯ হাজার ১০০ কোটি টাকা টাকা। এর মধ্যে আবাসন খাতে বিতরণ করা হয়েছে ৩৬ হাজার ২০০ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৬ দশমিক ৫৬ শতাংশ।

২০১৩ সাল শেষে ব্যাংকের মোট বিতরণ করা ঋণের ৬ দশমিক ৮৩ শতাংশ ছিল আবাসন খাতে। তখন আবাসন খাতে ব্যাংকগুলো মোট ৩০ হাজার ৩৩৮ কোটি টাকার ঋণ বিতরণ করে।

ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন এবিবির চেয়ারম্যান ও ইস্টার্ন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলী রেজা ইফতেখার আবাসন খাতে ঋণ কমে যাওয়ার পেছনে দুটি কারণ তুলে ধরেন।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, এর প্রথম ও প্রধান কারণ হচ্ছে- তৈরি ফ্লাটের চাহিদার চেয়ে সরবরাহ বেশি থাকায় ক্রেতারা আরেকটু দাম কমার অপেক্ষা করেন।

দ্বিতীয় কারণ হিসেবে আবাসন খাতের ঋণে কোনো প্রণোদনা না থাকাকে দায়ী করেন তিনি।

 “বিশ্বের অধিকাংশ দেশে হাউজিং লোনে ব্যক্তি গ্রাহক যে সুদ দেয়, সেটি আয়কর হিসাব করার সময় আয় থেকে বাদ দেওয়া হয়। বাংলাদেশে এ ব্যবস্থা নেই।”

বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক স্থিতিশীলতা প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৪ সালের রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রেক্ষিতে ব্যাংকগুলো সতর্কতার সঙ্গে ঋণ দিয়েছে। অতিরিক্ত তারল্য সরকারের নিরাপদ বিল বা বন্ডে বিনিয়োগ হয়েছে। যে কারণে ব্যাংকগুলোর সুদ আয়ের বড় অংশ জুড়ে রয়েছে সরকারের বিল ও বন্ড।

সর্বশেষ ব্যাংকার্স সভায় আবাসন খাতে ঋণ বিতরণ বাড়ানোর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে ব্যাংকগুলোকে অনুরোধ করা হয়েছিল।

বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে দেখেশুনে আবাসন খাতে ঋণ বিতরণের পাশাপাশি হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশনসহ এধরনের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের লোন হোলসেল করার পরামর্শও দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।