বৃহস্পতিবার নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা

অর্থবছরের প্রথমার্ধের মুদ্রানীতি বৃহস্পতিবার ঘোষণা করবে বাংলাদেশ ব্যাংক।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 July 2015, 01:42 PM
Updated : 29 July 2015, 01:42 PM

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমান ২০১৫-১৬ অর্থবছরের এই নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা করবেন বলে বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

প্রতি ছয় মাস পরপর মুদ্রানীতি ঘোষণা হয়ে থাকে। এই মুদ্রানীতির মাধ্যমে ছয় মাস সময়ে অভ্যন্তরীণ বাজারে কোন খাতে কি পরিমান অর্থ সরবরাহ থাকবে সে পরিকল্পনা নেওয়া হয়।

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখার লক্ষ্যে অর্থ সরবরাহ ব্যবস্থাপনা করাই মুদ্রানীতির মূল উদ্দেশ্য।

একই সঙ্গে সরকারের বাজেটে নেওয়া জিডিপির লক্ষ্য অর্জন, বাজেট ঘাটতি মেটাতে ব্যাংক ও ব্যাংক বহির্ভূত ব্যবস্থা থেকে সরকারের ঋণ গ্রহণ, বেসরকারি খাতের চাহিদা অনুযায়ী অর্থ সরবরাহ ব্যবস্থা করা মুদ্রানীতির প্রধান কাজ।

এরই মধ্যে নতুন মুদ্রানীতিতে উৎপাদনশীল খাতকে উৎসাহী করার উদ্যোগ থাকবে বলে এক অনুষ্ঠানে জানিয়েছেন গভর্নর আতিউর রহমান।

তিনি বলেছেন, নতুন মুদ্রানীতির বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে উদ্বৃত্তের সমস্যা মোকাবেলা করা। কারণ আর্থিক খাতের বিভিন্ন সূচকেই এখন উদ্বৃত্ত বিরাজ করছে। বিশেষকরে ব্যাংকগুলোর হাতে উদ্বৃত্ত তারল্য রয়েছে।

সামগ্রিক অর্থনীতি স্থিতিশীল রয়েছে জানিয়ে গভর্নর আরও বলেন, মূল্যস্ফীতি বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার স্থিতিশীল। এই স্থিতিশীলতা কোন অবস্থাতেই নষ্ট করা যাবে না।

এবারের মুদ্রানীতি নতুন কয়েকটি বিষয় থাকবে বলেও আভাস মিলেছে গভর্নরের বক্তব্যে।

তিনি বলেন, “আমরা নয়া ধারার কেন্দ্রীয় ব্যাংকিং চালু করেছি। এই নতুন ধারার অন্যতম বৈশিষ্ট হচ্ছে টেকসই অর্থনীতির জন্য টেকসই অর্থায়ন। এজন্য মুদ্রানীতিতে মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদি ব্যবস্থা থাকছে। আমরা একেবারে সব কিছু ছোট ছোট করে সমাধান করবো তা ভাবছি না।”

এছাড়া এই মুদ্রানীতির মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক ৩০ কোটি ও ২০ কোটি ডলারের আলাদা দুটো তহবিলের ঘোষণা দেবেন গভর্নর।

এর আগে জানুয়ারি-জুন সময়ের যে মুদ্রানীতি ছিল তাকে বাংলাদেশ ব্যাংক সংযত ও সতর্ক মুদ্রানীতি বলে উল্লেখ করেছিল। উৎপাদনশীল খাতে প্রয়োজনীয় অর্থ সরবরাহের ব্যবস্থা রেখে ওই মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হয়।