ব্যাংক দুটি বিশেষ আইনে প্রতিষ্ঠিত বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এগুলো পরিদর্শনের সুযোগ না থাকায় ব্যাংক দুটির অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ ও সুশাসন নিশ্চিত হচ্ছে না বলে পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের।
এজন্য বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিবকে চিঠি দিয়ে ব্যাংক দুটি পরিদর্শন ও পরিচালনায় সুযোগ দিতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে,“প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক আইন-২০১০ এবং পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক আইন-২০১৫ এর মাধ্যমে বিশেষায়িত ব্যাংক দুটো কার্যক্রম শুরু করে। অন্যান্য বিশেষায়িত ব্যাংকের মতো পরিদর্শন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য এবং জনস্বার্থে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়ার জন্য সরকার কর্তৃক সরকারি গেজেট প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়ায় বাংলাদেশ ব্যাংক এই ব্যাংক দুটোতে পরিদর্শন শুরু করা সম্ভব হয়নি। ব্যাংক দুটো কার্যক্রম শুরু করলেও এর কার্যক্রম অপ্রদর্শিত থেকে যাচ্ছে, যা অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা জোরদার তথা সুশাসন নিশ্চিত করার জন্য সহায়ক নয়।
এর আগেও বিশেষায়িত আনসার ভিডিপি ব্যাংক, কর্মসংস্থান ও গ্রামীণ ব্যাংক পরিদর্শনের সুযোগ দিতে অর্থ মন্ত্রণালয় আলাদা প্রজ্ঞাপন জারি করে ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংককে পরিদর্শন বা তদন্ত এবং জনস্বার্থে যে কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষমতা দেয়।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বাংলাদেশ ব্যাংকের চিঠির প্রেক্ষিতে একটি গেজেট জারির জন্য সারসংক্ষেপ অর্থমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হয়েছে।মন্ত্রী অনুমোদন দিলেই গেজেট প্রকাশ করা হবে।”
প্রবাসের অর্থ বিনিয়োগে ২০১১ সালে ২০ এপ্রিল বিশেষ এক আইনে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের কার্যক্রম শুরু হয়। বর্তমানে ব্যাংকটির ৩৯টি শাখা কাজ করছে।
দারিদ্র বিমোচনের লক্ষ্যে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক গঠন করেছে সরকার।সরকারের ‘একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পকে’ এই ব্যাংকের কার্যক্রমে রূপান্তর করা হয়েছে। এই প্রকল্পের খামারি ও উদ্যোক্তারা সরাসরি পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের সদস্য হয়েছে। গ্রামীণ এলাকায় সঞ্চয় ও বিনিয়োগকে প্রাধান্য দিয়ে দারিদ্র্য দূরীকরণের জন্য এ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করা হয়।
গত জুনে এই ব্যাংক সারা দেশের ৪৮৫টি উপজেলায় কার্যক্রম শুরু করেছে।পুরো জনবল এখনও নিয়োগ হয়নি।