করদাতার সংখ্যা বাড়াতে সহযোগিতা করবেন ডিসিরা

দেশে করদাতার সংখ্যা বাড়াতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীনে জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সহযোগিতা করবেন জেলা প্রশাসকরা (ডিসি)।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 July 2015, 03:08 PM
Updated : 28 July 2015, 04:31 PM

মঙ্গলবার সচিবালয়ে ডিসি সম্মেলনের প্রথম দিন অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত কার্য-অধিবেশন শেষে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।

তিনি বলেন, “আমরা যে সার্ভে (করদাতা সনাক্তকরণে জরিপ) করি, আমার সার্ভেয়াররা আর ‘ইনডিপেনডেন্টভাবে’ কাজ করবে না। তারা ডিসিদের সঙ্গে বসে কাজ করবে।”

কর আদায়ে কোনো সহযোগিতা করতে না পেরে সম্মেলনে জেলা প্রশাসকরা খেদ প্রকাশ করেছেন বলে জানান অর্থমন্ত্রী।

মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এক বছরে ১৮ লাখ করদাতা সনাক্ত করেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, “জেলা প্রশাসকরা বলেছেন, একেকজন নিজেদের এলাকা থেকেই এক লাখ নাম দেখাতে পারবেন।

“… তারা (ডিসি) তো ১০ হাজারের নাম (করদাতা) দিতে পারেন। করদাতাদের নাম প্রকাশ ট্যাক্স বাড়ানোর ভাল উপায়, এর থেকে ভাল উপায় নেই। মোস্ট ওয়েলকাম (ডিসিদের) করেছি।”

২০১৫-১৬ অর্থবছরে বাজেটে বর্তমান সরকারের মেয়াদেই সক্রিয় করদাতার সংখ্যা বাড়িয়ে ৩০ লাখে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।

বর্তমানে বাংলাদেশে ১৬ কোটি মানুষের মধ্যে ১১ লাখের কিছু বেশি মানুষের কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) থাকলেও এদের সবার কাছ থেকে কর আদায় করতে পারে না সরকার।

এখন থেকে জেলা প্রশাসকদের কাছ থেকে নির্দেশনা নিয়েই অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা করদাতা সনাক্তকরণ জরিপ পরিচালনা করবে বলে জানান তিনি।

অর্থমন্ত্রী বলেন, “জেলা প্রশাসকরা আমার কর্মচারীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন।তারা বললেন- আপনার কাস্টাসম, ইনকাম ট্যাক্স, মূসকের লোকজন আমাদের থেকে দূরে থাকেন।”

এবিষয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ের অধীন জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, “আমি তাদের বলেছি, ডিসিরা সভা-সমিতিতে ডাকলে আপনারা সেখানে যাবেন।”

ট্রেজারিগুলোতে জায়গার অভাব নিয়ে ডিসিরা অভিযোগ করেছেন বলেও জানান তিনি।

“আমরা অনেক কিছু পাঠাই কিন্তু ট্রেজারিতে সেগুলোর জায়গা হয় না।সেজন্য সিদ্ধান্ত হয়েছে ট্রেজারিগুলোকে বড় করতে প্রোগ্রাম নিতে হবে। জনপ্রশাসন ও গৃহায়ন মন্ত্রণালয় মিলে এই কার্যক্রম শুরু করবে।”

অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম নিয়েও জেলা প্রশাকদের সঙ্গে মতবিনিময় করা হয় না বলে তাদের অভিযোগের কথাও তুলে ধরেন তিনি।

অর্থমন্ত্রী বলেন, “যেমন বাংলাদেশ ব্যাংক কৃষি ঋণ নির্ধারণ করে দেয়। বাংলাদেশ ব্যাংক এগুলো করে এখন জেলা প্রশাসকদের জানিয়ে দেবে। তাহলে ডিসিরা ধরতে পারবেন, কে ঋণ দিচ্ছেন আর কে দিচ্ছেন না।