বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে তুলনা: রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় ১০ শিক্ষকের জামিন

প্রশ্নপত্রে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে বিএনপির এক নেতার তুলনা করার অভিযোগে হওয়া রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেপ্তার ১৩ শিক্ষকের মধ্যে ১০ জন জামিন পেয়েছেন।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Sept 2017, 11:10 AM
Updated : 26 Sept 2017, 11:10 AM

মঙ্গলবার চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ হেলাল চৌধুরী তাদের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন বলে জানান শিক্ষকদের আইনজীবী ইব্রাহীম হোসেন চৌধুরী বাবুল।

যারা জামিন পেয়েছেন তারা হলেন- মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি বোয়ালখালী উপজেলা সভাপতি মো. আলী, সাধারণ সম্পাদক আমীর হোসেন, আনোয়ারা উপজেলা সভাপতি আবুল কালাম, সাধারণ সম্পাদক বাদল দাশ, পটিয়ার সভাপতি মো. ইউসুফ, সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দে, সাতকানিয়া উপজেলার সভাপতি অজিত কারণ, সাধারণ সম্পাদক ওয়াইজ উদ্দিন এবং চন্দনাইশ উপজেলার সভাপতি বিজন ভট্টাচার্য্য, সাধারণ সম্পাদক এএইচএম সৈয়দ হোসেন।

প্রশ্নপ্রণয়নকারী শিক্ষক দুকুল বড়ুয়া, বাঁশখালী মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি (কালীপুর নাসেরা খাতুন বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক) তাহেরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মিয়ার জামিন নাকচ হয়ে গেছে বলে জানান আইনজীবী ইব্রাহীম।

“গ্রেপ্তার ১৩ শিক্ষকের জন্য আদালতে জামিন আবেদন করা হয়েছিল। আদালত শুনানি করে প্রশ্ন প্রণয়নকারী শিক্ষক এবং বাঁশখালী উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ছাড়া অন্যদের জামিন মঞ্জুর করেছে।”

গত বছরের ১৭ জুলাই নবম শ্রেণির অর্ধবার্ষিক পরীক্ষার ‘বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়’ বিষয়ের সৃজনশীল প্রশ্নপত্রের ৪ নম্বর প্রশ্নে দক্ষিণ জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি লিয়াকত আলীকে জাতির জনকের সঙ্গে তুলনা করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। ওই ঘটনা তদন্তে দুই সদস্যের কমিটি করে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।

এ ঘটনায় গত বছরের ১৯ জুলাই বাঁশখালী উপজেলা সদর থেকে গ্রেপ্তার হন দুকুল বড়ুয়া এবং তাহেরুল ইসলাম।

ওই রাতে বাঁশখালী থানার এএসআই নুরুল আনোয়ার ৫৪ ধারায় একটি মামলা করেন। পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিয়ে ১২৪ (ক) ধারা অনুসারে সেটি রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয়।

প্রশ্নপ্রণয়নকারী শিক্ষক ছাড়াও মামলায় আরও ১২ শিক্ষককে আসামি করা হয়েছিল।

এ মামলায় গত ১১ জুলাই হাই কোর্ট থেকে ছয় সপ্তাহের জামিন নেন ১৩ শিক্ষক। ওই জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় তারা বাঁশখালী আদালতে জামিনের আবেদন করেছিলেন।

বাঁশখালীর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে জামিন আবেদন নাকচ হলে ২৩ অগাস্ট ১৩ শিক্ষককে কারাগারে পাঠানো হয়।

এর পর থেকে তাদের মুক্তির দাবিতে আন্দোলন করে আসছিলেন সহকর্মীরা।