গ্লিসারিন আত্মসাৎ: চট্টগ্রাম কাস্টমসের দুই সাবেক কর্মকর্তা গ্রেপ্তার

৪০৪ মেট্রিক টন গ্লিসারিন আত্মসাৎ মামলার আসামি চট্টগ্রাম কাস্টমসের সাবেক দুই কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 Sept 2017, 10:56 AM
Updated : 20 Sept 2017, 10:56 AM

বুধবার দুপুরে আগ্রাবাদ এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তাররা হলেন- চট্টগ্রাম কাস্টমসের সাবেক সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মোহসীন আলী ও আবদুস সিদ্দিক। মোহসীন আলী বর্তমানে অবসরকালীন ছুটিতে ও আবদুস সিদ্দিক খুলনায় কর্মরত আছেন।

দুদক চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক আবু সাঈদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, ১৪টি কন্টেইনারে থাকা ৪০৪ মেট্রিক টন ক্রুড গ্লিসারিন নিলামে কেনার পর নিলাম মূল্য ৭০ লাখ ৪৭ হাজার ৮০০ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে ওই পণ্য অবৈধভাবে বন্দর থেকে বের করে নেওয়া হয়।

“আত্মসাৎ করা এসব গ্লিসারিন দুই ব্যক্তির কাছে বিক্রি করা হয়। ২০১৫ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর হালিশহরের একটি ওয়ার্কশপ থেকে এই গ্লিসারিন উদ্ধার করে কাস্টমস কর্মকর্তারা।”

এ ঘটনার তদন্ত শেষে গত ৩০ অগাস্ট দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-১ এর সহকারী পরিচালক এইচ এম আখতারুজ্জামান ১১ জনকে আসামি করে হালিশহর থানায় একটি মামলা করেন।

মামলার আসামিরা হলেন- গ্লিসারিনের ক্রেতা মোশারফ হোসেন মাসুম ও দেলোয়ার হোসেন, নিলামে সর্বোচ্চ দরদাতা খলিলুর রহমান ও সাইফুল হায়দার চৌধুরী, চট্টগ্রাম কাস্টমসের নিলাম শাখার সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মোহসীন আলী ও মো. আবদুস সিদ্দিক, চট্টগ্রাম বন্দরের টার্মিনাল অফিসার শাহাদাৎ হোসেন মজুমদার, সহকারী পরিবহন পরিদর্শক এম এম সুলতানুল আলম ও মনোয়ার হোসেন এবং উচ্চমান বহি:সহকারী নূরুল ইসলাম চৌধুরী ও পুলক কান্তি দাশ।

ওইদিনই বন্দরের সহকারী পরিদর্শক (পরিবহন) মনোয়ার হোসেন, উচ্চমান বহিঃসহকারী নুরুল ইসলাম চৌধুরী ও পুলক কান্তি দাশকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১৩ সালের ৩ জুলাই চারটি কন্টেইনারে এক লাখ ২৫ হাজার ৪৪০ কেজি ক্রুড গ্লিসারিন ২৯ লাখ ৭২ হাজার ৮০০ টাকা নিলাম দরে কেনেন খলিলুর রহমান।

ওই বছরের ২৯ জুলাই অন্য ১০ কন্টেইনারে থাকা দুই লাখ ৭৯ হাজার ৩১৮ কেজি ক্রুড গ্লিসারিন ৪০ লাখ ৭৫ হাজার টাকায় নিলামে কেনেন সাইফুল হায়দার চৌধুরী।

নিলাম মূল্য সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে ‘জাল নথি’ ব্যবহার করে ২০১৫ সালের ২০ থেকে ২৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বন্দর থেকে ওই ১৪টি কন্টেইনার নিয়ে যাওয়া হয়।

১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় এবং দণ্ডবিধির ৪০৯,৪২০,৪৬৭,৪৬৮,৪৭১,২০১ ও ১০৯ ধারায় মামলাটি করা হয়।