প্রকাশ্যে মিছিল-সমাবেশ না করলেও রোহিঙ্গা ইস্যুতে সরকার পতনের দাবিতে নগরীর বিভিন্ন স্থানে পোস্টার সেঁটেছে সংগঠনটি।
বর্তমান সরকারের পতন ঘটিয়ে তাদের নেতৃত্বে খিলাফত রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় সেনা কর্মকর্তাদের কাছে দাবি তোলার আহ্বান জানানো হয়েছে পোস্টারে।
নগরীর জামালখান, আসকার দিঘীর পাড়, শুলকবহর, বলির হাট, দেওয়ান হাটসহ বেশকিছু স্থানে দেওয়া দেয়ালে দেখা যাচ্ছে হিযবুতের পোস্টার।
পোস্টারে লেখা আছে, “হে মুসলিমগণ! রোহিঙ্গা মুসলিমদের মুক্ত করতে হাসিনা সরকারকে অপসারণ করে হিযবুত তাহরীর-এর নেতৃত্বে খিলাফত প্রতিষ্ঠায় নিষ্ঠাবান সেনা অফিসারদের নিকট দাবি তুলুন।”
পোস্টারে আরও লেখা আছে, “বিশ্বাসঘাতক হাসিনা সরকার কর্তৃক মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সাথে যৌথ অভিযানের প্রস্তাব রুখে দাঁড়ান।”
তবে হিযবুতের পোস্টার সাঁটানোর বিষয়টি নিজেদের নজরে থাকার কথা জানিয়েছেন নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার (বন্দর-পশ্চিম) মো. শহিদুল্লাহ।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “বিষয়টি পুলিশের নজরে এসেছে। এনিয়ে নগরীর সব থানায় সিএমপি কমিশনারের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
“যারা এসব পোস্টার সাঁটানোর সাথে জড়িত তাদের ধরতে পুলিশ কাজ করছে। পাশাপাশি যারা পোস্টার সাঁটানোর জন্য নির্দেশনা দিয়েছে তাদেরও ধরা হবে।”
বাংলাদেশে হিযবুত তাহরীরের কর্মকাণ্ড শুরু হয় ২০০০ সালের কিছু পরে। ২০০৯ সালের ২২ অক্টোবর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।
নিষিদ্ধ হওয়ার নয় মাসের মাথায় ২০১০ সালের ১৬ অগাস্ট সংগঠনটি তাদের ‘খসড়া সংবিধান’ প্রকাশ করে, যেখানে ‘ইসলামী খিলাফতভিত্তিক’ রাষ্ট্র গঠনের পরিকল্পনার কথা রয়েছে।
এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে নিষিদ্ধ এ সংগঠনটি গোপনে প্রচারপত্র বিলিও করেছে।
আন্তর্জাতিক ইসলামী সংগঠন হিসেবে পরিচিত হিযবুত তাহরীরের প্রতিষ্ঠা ১৯৫৩ সালে জেরুজালেমে। এই দলের প্রতিষ্ঠাতার নাম তকিউদ্দিন আল নাভানী।
গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার বিরুদ্ধে স্পষ্ট অবস্থান গ্রহণকারী সংগঠনটি ইসলামী খিলাফত কায়েমে বিশ্বাসী। বিশ্বের প্রায় ৪০টি দেশে এই সংগঠনের কর্মকাণ্ড রয়েছে।