বুধবার বিকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে ছাড়া পাওয়া আট রোহিঙ্গার সঙ্গে আটক এই ১৬ জনকেও উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাঠিয়ে দেওয়া হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।
সহিংসতার মুখে মিয়ানমার থেকে আসা পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের আশ্রয়ের জন্য উখিয়ায় স্থান করে দিয়েছে সরকার। সেখানে তাদের নিবন্ধন করা হয়।
মিয়ানমারের নাগরিক রোহিঙ্গাদের ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে সচেষ্ট সরকার। তারপরও অনেকে কক্সবাজার হয়ে বিভিন্ন স্থানে পাড়ি জমাচ্ছে।
চট্টগ্রামের কাপ্তাই রাস্তার মাথা ও শাহ আমানত সেতু এলাকা থেকে বুধবার দুপুরে ও মঙ্গলবার রাতে ১৬ রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়।
চান্দগাঁও থানার ওসি আবুল বাশার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, জানান, রোহিঙ্গারা বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ার উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম চলে এসেছিল। কাপ্তাই রাস্তার মাথায় বিভিন্ন পরিবহনে তল্লাশি চালিয়ে পাঁচজন নারী, চারজন পুরুষ ও দুটি শিশুকে আটক করা হয়।
মঙ্গলবার রাতে চট্টগ্রামে প্রবেশের পথ শাহ আমানত সেতুর বাকলিয়া থানার চেকপোস্টে বাস তল্লাশি করে তিন জন নারী ও দুজন পুরুষকে আটকের কথা জানান ওেই থানার ওসি প্রণব চৌধুরী।
এদিকে বিভিন্ন সময়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসাদের মধ্যে আটজনকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানান হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই আলাউদ্দিন তালুকদার।
তিনি বলেন, “আমাদের কাছে একটি নির্দেশনা আছে যেসব রোহিঙ্গা নগরী বা অন্য কোথায় পালিয়ে যেতে চায় তাদের ধরে টেকনাফে পাঠিয়ে দেওয়ার।”
সে হিসেবে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়া আটজন এবং বাকলিয়া ও চান্দগাঁও থেকে আটক হওয়া ১৬ জনসহ মোট ২৪ জনকে কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বেলা সাড়ে ৫টার দিকে পুলিশ পাহারায় একটি বাসে করে রোহিঙ্গাদের কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়।
এর আগে মঙ্গলবার হাটহাজারীর ফটিকা ইউনিয়ন থেকে ১৯ জন এবং রোববার সীতাকুণ্ড উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়ন থেকে ১৮ জনকে আটক করে টেকনাফ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।