জসিম উদ্দিন চৌধুরীর ভাই বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীও এই মামলার আসামি।
চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ মো. শাহে নূর বুধবার তাকে গ্রেপ্তারের এ আদেশ দেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী কাজী সানোয়ার আহমেদ লাভলু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এ মামলায় গ্রেপ্তারের পর হাই কোর্ট থেকে জামিন নিয়েছিলেন জসিম উদ্দিন চৌধুরী। রোববার আপিল বিভাগ সেই জামিন বাতিল করে।
“পাশাপাশি তিনদিনের মধ্যে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পন করতে আদেশ দিয়েছিলেন আপিল বিভাগ। সেই আদেশ অমান্য করায় আজ মহানগর দায়রা জজ আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।”
মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে বেসরকারি এবি ব্যাংকের চট্টগ্রাম আগ্রাবাদ শাখা থেকে ৩২৫ কোটি ৭৬ লাখ ৩০ হাজার ৯৫৫ টাকার ঋণ নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়।
মামলার আসামিরা ছিলেন- আসলাম চৌধুরী, জসিম উদ্দিন চৌধুরী, তাদের আরেক ভাই রাইজিং স্টিল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমজাদ হোসেন চৌধুরী, আসলামের স্ত্রী ও চেয়ারম্যান জামিলা নাজনীন মাওলা, এবি ব্যাংকের সাবেক দুই কর্মকর্তা বদরুল হক খান এবং এম ফজলুর রহমান।
মামলার আসামিদের মধ্যে আসলাম চৌধুরী সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে গত বছর গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে কারাগারে রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে চেক প্রতারণাসহ নাশকতার অভিযোগেও মামলা রয়েছে।
অর্থ আত্মসাতের মামলায় তদন্ত শেষে চলতি বছরের ৭ অগাস্ট অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। অভিযোগপত্রে আসামিদের মধ্যে দুই ব্যাংক কর্মকর্তা বদরুল হক খান ও ফজলুর রহমানের নাম বাদ দেওয়া হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়, আসলাম চৌধুরীর পারিবারিক মালিকানাধীন রাইজিং স্টিল লিমিটেড পুরাতন জাহাজ কিনতে ২০১১ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে তিনটি ঋণপত্রের (এলসি) বিপরীতে এবি ব্যাংক আগ্রাবাদ শাখা থেকে ওই ঋণ নিয়ে তা আর পরিশোধ করেনি।