চট্টগ্রামের ঈদ জামাতে নানা মতের মোলাকাত

চট্টগ্রামের জমিয়তুল ফালাহ জাতীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে ঈদের প্রধান জামাতে অংশ নিয়েছে হাজারো মানুষ।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 Sept 2017, 07:14 AM
Updated : 2 Sept 2017, 07:14 AM

মতপার্থক‌্য দূরে রেখে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারাও এদিন কোলাকুলিতে করেছেন শুভেচ্ছা বিনিময়। 

শনিবার সকাল পৌনে ৮টায় এই ঈদ জামাতে ইমামিত করেন জমিয়তুল ফালাহ জাতীয় মসজিদের খতিব সৈয়দ আবু তালেব মো. আলাউদ্দিন আল কাদেরী।

ঈদের দিন সকাল থেকেই বন্দর নগরীর আকাশ ছিল মেঘলা। থেমে থেমে বৃষ্টি হয়েছে। জমিয়তুল ফালাহ প্রাঙ্গণে সকাল ৯টায় দ্বিতীয় ঈদ জামাত শুরুর সময়ও বৃষ্টি হচ্ছিল।

প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি, সাবেক দুই সিটি মেয়র বিএনপি নেতা মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন ও জাতীয় পার্টির নেতা মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সোলায়মান আলম শেঠ, নগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোসলেম উদ্দিন আহম্মদ, নগর আওয়ামী লীগ নেতা হাসান মাহমুদ হাসনী ঈদের প্রধান জামাতে অংশ নেন।

নগর আওয়ামী লীগ সভাপতি সাবেক মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী হজ পালনে সৌদি আরবে থাকায় এবং সিটি মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন পা পিছলে কোমরে আঘাত পাওয়ায় এ ঈদ জামাতে উপস্থিত থাকতে পারেননি। 

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ও জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এবার নগরীতে মোট ১৬৬টি এবং কেন্দ্রীয় ঈদ জামাত কমিটির আয়োজনে ৯০টি স্থানে ঈদ জামাতের আয়োজন করা হয়।

নগরীর দামপাড়া পুলিশ লাইনস মাঠে ঈদের নামাজে অংশ নেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটার নাসির হোসেন, মুমিনুল হক, সাব্বির রহমান এবং অষ্ট্রেলিয়া দলের ব্যাটসম্যান খোওয়াজা। অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে তারা এখন চট্টগ্রামে।

নামাজ শেষে নগরীর পাড়ায় মহল্লায় শুরু হয় পশু কোরবানি। চট্টগ্রাম সিটি করেপারেশন (সিসিসি) এবার নগরীতে পশু জবাইয়ের জন্য ৩৬১টি স্থান নির্ধারণ করে দিলেও সেখানে গিয়ে পশু কোরবানি দিতে নগরবাসীর তেমন আগ্রহ দেখা যায়নি।

সিসিসির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানিতে তেমন সাড়া না মিললেও নগরবাসী বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে সচেতন।

“ইতোমধ্যে বর্জ্য অপসারণের কাজ শুরু হয়েছে। চার হাজার কর্মী কাজ করছেন। বেলা ২টার মধ্যে ৮০ শতাংশ এবং বিকেল ৫টার মধ্যে সব আর্বজনা অপসারণের লক্ষ্যে কাজ চলছে।”

তবে আগের রাত থেকে শনিবার দুপুর পর্যন্ত থেমে থেমে বৃষ্টি হওয়ায় নগরীর কোথাও কোথাও রক্ত মেশা পানি জমে থাকতে দেখা গেছে।