শুক্রবার সকাল ১১টায় ফ্লাইওভারটির মূল অংশ যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়।
তবে ফ্লাইওভারের দুই নম্বর গেইট অংশে একটি র্যাম্প ও একটি লুপ এখনও নির্মাণাধীন। এছাড়া জিইসি মোড় অংশে চারটি র্যাম্প নির্মাণের কাজ শুরু হয়নি।
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মূল অংশের সব নির্মাণকাজ শেষে আজ এটি খুলে দেওয়া হয়েছে। এখন থেকে ফ্লাইওভারটিতে সব ধরনের যান চলাচল করতে পারবে।”
চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্মানাধীন র্যাম্প ও লুপের কাজ শেষে হবে বলে জানান সিডিএ চেয়ারম্যান।
এর আগে এ বছরের ১৬ জুনে ঈদের আগে ফ্লাইওভারটির একটি লেইন পরীক্ষামূলকভাবে যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়।
অন্য লেইনটিতে কার্পেটিংয়ের কাজ বাকি ছিল। খুলে দেওয়া এক লেইনে রাতে যান চলাচল বন্ধ রাখা হচ্ছিল। এরপর গত ২৫ জুলাই থেকে ওই লেইনটিও বন্ধ করে দেওয়া হয়। কার্পেটিংসহ বাকি কাজ শেষে শুক্রবার ফ্লাইওভারটির দুটি লেনই খুলে দেওয়া হল।
যানবাহনের জন্য উন্মুক্ত হলেও শুক্রবার বন্ধের দিন এবং ঈদের আগের দিন হওয়ায় ফ্লাইওভারে যানবাহনের সংখ্যা ছিল কম।
জিইসি মোড়ে চারটি র্যাম্প নির্মাণের বিষয়ে জানতে চাইলে সিডিএ চেয়ারম্যান ছালাম বলেন, সেগুলোর নির্মাণ কাজ এপ্রিলের মধ্যে শেষ হবে। লাইটিং করা হয়েছে। সৌন্দর্য বর্ধন করা হবে।
“২০১৮ সালের জুন পর্যন্ত প্রকল্পটির মেয়াদ। তার আগেই এপ্রিলের মধ্যে সব কাজ শেষ করা সম্ভব হবে।”
লালখান বাজার থেকে মুরাদপুর পর্যন্ত এই ফ্লাইওভার অতিক্রম করতে আট থেকে দশ মিনিট সময় লাগে।
এদিকে ফ্লাইওভার খুলে দেওয়া হলেও নির্মাণ কাজ ও বর্ষার কারণে এটির নিচের ওয়াসার মোড়, গরিবুল্লাহ শাহ মাজার গেট, জিইসি মোড়, নাসিরাবাদ বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে, দুই নম্বর গেট ও ষোলশহর এলাকায় সড়কের অবস্থা বেহাল।
ভাঙ্গা সড়ক সংস্কারের বিষয়ে জানতে চাইলে সিডিএ চেয়ারম্যান বলেন, বর্ষা শেষ হলেই মেরামাতের কাজ শুরু করব।
২০১৪ সালের ১২ নভেম্বরে র্যাম্প ও লুপসহ প্রায় পাঁচ দশমিক দুই কিলোমিটার দীর্ঘ আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভার নির্মাণ কাজ প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করলেও মূল কাজ শুরু হয় পরের বছরের মার্চে।
শুরুতেই এর নির্মাণ ব্যয় ৪৬২ কোটি টাকা ধরা হয়েছিল। পরে র্যাম্প (গাড়ি ওঠানামার পথ) ও লুপ (উড়ালসড়কের সাখে অন্য রাস্তার সংযোগ) যুক্ত হওয়ায় প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ৬৯৮ কোটি টাকায়। সেই সঙ্গে ২০১৮ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ে মেয়াদ।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স-রেঙ্কিন (জেভি) ফ্লাইওভারটি নির্মাণ করেছে।
প্রকল্পটির নির্মাণকাজ চলাকালে বিভিন্ন সময় নির্মাণসামগ্রী পড়ে যানবাহনের ক্ষতি এবং শিক্ষার্থী আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
এছাড়া নির্মাণাধীন ফ্লাইওভারের কারণে নিয়মিত যানজট এবং বৃষ্টিতে কর্দমাক্ত সড়ক ধরে চলাচলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে নগরবাসীকে।