বগি-ছাদে যাত্রী নিয়ে চট্টগ্রাম থেকে ছুটছে ট্রেন

বগি তো দূরের কথা, বগির দরজা, ছাদ, ইঞ্জিনের সামনে- কোথাও তিল ঠাঁই নেই। এভাবেই ঘরমুখো মানুষ বোঝাই করে বন্দরনগরী থেকে গন্তব্যে ছুটে যাচ্ছে ট্রেন। 

উত্তম সেন গুপ্তবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 31 August 2017, 03:00 PM
Updated : 31 August 2017, 03:00 PM

ঈদ যাত্রার দুইদিন আগে বৃহস্পতিবার বিকালে চট্টগ্রাম রেল স্টেশনে বিভিন্ন গন্তব্যের যাত্রীদের উপচে ভিড় দেখা গেছে।

নির্ধারিত সময়ে ট্রেন ছাড়ায় কারো কারো যেমন স্বস্তি ছিল, তেমনি ভিড়ের মধ্যে ট্রেন উঠতে না পেরে অনেকেই ফিরে গেছেন হতাশা নিয়ে।

ঈদে নির্ধারিত ট্রেনের বাইরে রেল কর্তৃপক্ষ দুইটি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করেছে চট্টগ্রাম থেকে চাঁদপুরগামী যাত্রীদের জন্য।   

বিকালে চাঁদপুরগামী প্রায় ৮০০ আসনের মেঘনা এক্সপ্রেস ট্রেনটিতে পা রাখার জায়গাও ছিল না। তার আগে বেলা সাড়ে ৩টায় ছেড়ে যাওয়া বিশেষ ট্রেন ও ময়মনসিংহগামী নাসিরাবাদ এক্সপ্রেস ট্রেনেরও ছিল একই অবস্থা।

আগে টিকেট সংগ্রহ করেও এদিন ট্রেনে উঠতে পারেননি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম।তিনি যাবেন চাঁদপুর।

“পরিবার নিয়ে বাড়ি ফিরতে আগেভাগেই ট্রেনের টিকিট সংগ্রহ করেছিলাম। কিন্তু স্ত্রী, বোন, সন্তান নিয়ে ভিড়ের কারণে উঠতে পারিনি।”  

সকালে বিশেষ ট্রেনে করে বাড়ি যাওয়ার চেষ্টা করবেন বলে জানান তিনি।

এদিন স্বাভাবিক সময়ের আগেই প্ল্যাটফর্মে ট্রেন আসতে দেখা গেছে। আগেভাগে আসন পেতে অনেক যাত্রীকে পাহাড়তলী ইয়ার্ড ও কদমতলী রেল ক্রসিং থেকে ট্রেনে উঠতে দেখা গেছে।

চট্টগ্রাম ইপিজেডে একটি পোশাক কারখানায় কর্মরত চাঁদপুরের মো. মাঈনউদ্দিন বলেন, “সাড়ে ৩টার বিশেষ ট্রেন ধরতে আগেভাগেই স্টেশনে এসেছিলাম। তবে ট্রেনে উঠতে না পেরে স্ট্যান্ডিং টিকেট নিয়ে যাচ্ছি।”

রেল কর্তৃপক্ষ মাইকিং করে ট্রেনের ছাদে, পাদানিতে ও বগির ফাঁকে উঠতে নিষেধ করলেও বাড়ি ফিরতে মরিয়া যাত্রীদের দমানো যায়নি।

সালমা আক্তার নামের এক নারী আসন না পেয়ে স্বামী-সন্তান নিয়ে চেপে বসেছেন চাঁদপুরগামী ট্রেনের ছাদে। তারা যাবেন বরিশাল। চাঁদপুর থেকে বরিশালের লঞ্চ ধরবেন তারা।

তিনি বলেন, “বছরে দুই/একবার বাড়ি যাই। ভোগান্তি ও ঝুঁকি থাকলেও বাড়ি পৌঁছাতে পারাটাই বড় কথা। চাঁদপুর গিয়ে সেখান থেকে ‘রকেটে’ (চাঁদপুর-বরিশালগামী বিশেষ লঞ্চ) করে বরিশাল যাব।”

নাসিরাবাদ এক্সপ্রেস, ঢাকাগামী মহানগর গোধুলী, সোনার বাংলা এক্সপ্রেসসহ বিভিন্ন ট্রেনেও যাত্রীদের ভিড় ছিল।

এছাড়া বিকালে চট্টগ্রাম থেকে দূরপাল্লার বিভিন্ন বাসেও যাত্রীদের ভিড় দেখা গেছে। নগরীর অলংকার মোড়, বিআরটিসির মোড়সহ বাস বিভিন্ন স্থানের বাস কাউন্টারগুলোয় ঘরমুখো যাত্রীর চাপ ছিল লক্ষ্যনীয়।