পুলিশ কর্মকর্তাদের ধারণা, অমিত কুমার মুহুরি নামে ওই যুবলীগকর্মী তার স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক থাকার সন্দেহে করিমকে হত্যা করেন।
কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী বাবরের অনুসারী হিসেবে পরিচিত অমিতের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালে রেলের দরপত্র নিয়ে জোড়া খুনসহ অন্তত ১০টি মামলা আছে।
গত ১৩ অগাস্ট চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালি থানার এনায়েত বাজার রানীর দিঘীতে ড্রামের ভেতর থেকে করিমের লাশ পাওয়া গিয়েছিল।
তখন কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি। কোতোয়ালি থানার ওসি জসীম উদ্দিন বৃহস্পতিবার নিহত যুবকের পরিচয় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান।
তিনি বলেন, গত ৯ অগাস্ট নগরীর নন্দনকান ৩ নম্বর গলির হরিশদত্ত লেইনে বেঙ্গল হোল্ডিংসের ষষ্ঠ তলায় অমিতের বাসায় ইমনকে হত্যা করা হয়। এরপর ড্রামে ভরে সিমেন্ট ঢালাই করে লাশটি দিঘীতে ফেলে দেওয়া হয়েছিল।
হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগে ইমাম হোসেন মজুমদার ওরফে শিশির (২৭) ও শফিকুর রহমান ওরফে শফি (৪৬) নামে দুজনকে গ্রেপ্তারের কথাও জানান ওসি।
তিনি বলেন, কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম নগরীতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এছাড়াও প্রত্যক্ষদর্শী আরও তিনজন হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে জবানবন্দি দিয়েছেন।
পুলিশ কর্মকর্তা জসীম বলেন, “গ্রেপ্তার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, অমিত মুহুরি সরাসরি এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত।
তিনি বলেন, “প্রত্যক্ষদর্শী ও গ্রেপ্তারকৃতরা জানিয়েছে, ইমন ছিলেন অমিতের বন্ধু। অমিতের বাসায় ইমন যাতায়াত করত। অমিত তার স্ত্রীর সাথে ইমনের পরকীয়া আছে বলে সন্দেহ করে।”
বাসায় গেলে ইমনকে আটকে ফেলা হয় বলে গ্রেপ্তার শিশির পুলিশকে জানান।
তার ভাষ্য, ইমনকে আটকে রেখে অমিত তাকেসহ আরও কয়েকজনকে বাসায় ডেকে আনে। সবার সঙ্গে পরামর্শ করে ৯ অগাস্ট ভোরে ইমনকে কুপিয়ে হত্যা করে লাশ বাথরুমে রেখে পুড়িয়ে ফেলার চেষ্টা করে। তা না পেরে অমিত ও তার সহযোগীরা বাসায় ড্রাম, বালি, সিমেন্ট নিয়ে আসে। সেটিতে এসিড ও চুন দিয়ে ঢালাই ড্রামটি ১২ অগাস্ট রাতে দিঘীতে ফেলে দেওয়া হয়।
ওসি জসীম বলেন, “অমিত কয়েক মাস আগে জামিনে ছাড়া পেয়েছে। তাকে খুঁজতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।”
ইমন নিখোঁজের পর তার ছোট ভাই ইরফানুল করিম গত ২২ অগাস্ট রাউজান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরিও করে।