চট্টগ্রামের উন্নয়নে ‘মরিয়া’ নাছির ‘সহায়তা’ পাচ্ছেন না

চট্টগ্রামবাসীর জন্য কাজ করতে ‘মরিয়া’ হলেও ‘প্রয়োজনীয় সহায়তা’ পাচ্ছেন না বলে আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন নগরীটির মেয়র আ জ ম নাছির।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 August 2017, 04:51 PM
Updated : 28 August 2017, 04:51 PM

সোমবার চট্টগ্রাম সাংবাদিক হাউজিং কো-অপারেটিভ সোসাইটির এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “মানুষের জন্য কাজ করতে চাই। কাজ করতে আমি মরিয়া। কিন্তু সহায়তা বা পরিস্থিতি পাচ্ছি না বলে করতে পারছি না। মুখে যা বলছি, হৃদয়েও তাই। হৃদয় খুলে দেখানোর সুযোগ থাকলে দেখাতাম।

“যদি সহযোগিতা পাই, আমি আন্তরিকভাবে চেষ্টা করব। সবাইকে অনুরোধ- যদি আমার ভুলভ্রান্তি থাকে তাহলে তুলে ধরবেন।”

নগরীর উন্নয়ন প্রচেষ্টায় বাধা এলে সাংবাদিকদের সহায়তা কামনা করেন তিনি।

“পজিটিভভাবে চেষ্টা করলেও যদি কেউ প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে তাহলে আপনাদের সহযোগিতা চাই। পরিচ্ছন্ন ও পরিকল্পিত নগরী করতে চাই।

‘চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে খাল পুনঃখনন, সম্প্রসারণ, সংস্কার ও উন্নয়ন’ নামে পাঁচ হাজার ৬১৬ কোটি টাকার একটি প্রকল্প গত ৯ অগাস্ট একনেকে অনুমোদন পায়।

ওই প্রকল্পের আওতায় খালের মাটি খনন, কাদা অপসারণ, নালা সংস্কার ও নির্মাণসহ বৈদ্যুতিক বাতি স্থাপনের মত কাজও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) বাস্তবায়ন করবে।

প্রকল্পটি অনুমোদনের পর থেকে সিডিএ ও সিটি করপোরেশনের মধ্যে নগরীর ‘জলাবদ্ধতা নিরসন’ ও প্রকল্প বিষয়ে ‘শীতল সম্পর্ক’ বিরাজ করছে বলে এর আগে স্থানীয় একাধিক গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়। এর মধ্যেই গত ২৫ অগাস্ট হজে যাওয়ার আগে মেয়র নাছিরের সমালোচনায় মুখর হন সাবেক মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী।

জলাবদ্ধতা, যানজট ও নগরীর সড়কের বেহাল দশার জন্য নাছিরকে দায়ী করেন তিনি।

চট্টগ্রাম সাংবাদিক হাউজিং কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের শেরশাহ প্রকল্প কার্যালয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মেয়র।

নগরীর বাসিন্দাদের বিভিন্ন দুর্ভোগকে ‘মানবসৃষ্ট’ বলে দাবি করেন তিনি।

“শহরের এখন যে অবস্থা সেটা মানবসৃষ্ট। একটু সচেতন হলে এ অবস্থা হতো না। যেমন- আগ্রাবাদে বক্স কালভার্ট করেছে। পরিষ্কারের কোনো ব্যবস্থা নেই। অনেকবার টেন্ডার দিয়েছি, কেউ কাজ করতে চায় না।”

নগরীর উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট খাতের বিশেষজ্ঞ ও অভিজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়ার তাগাদা দিয়ে মেয়র আরও বলেন, “আমরা অনেক সময় অনেক কাজ করে ফেলি, তা নিয়ে পরে সমস্যা হয়। বিশেষজ্ঞ এবং অভিজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে কাজ করলে পরবর্তীতে সমস্যা হয় না। যা হয়ে গেছে, হয়ে গেছে।

“ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে যেন কোনো অপরিকল্পিত কাজ না হয়। পাস্ট ইজ পাস্ট। অতীত নিয়ে কোনো আলোচনা-সমালোচনা করতে চাই না।”

সোসাইটির সভাপতি স্বপন কুমার মল্লিক এদিনের অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।

সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক হাসান ফেরদৌস, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী, সাংবাদিক নেতা অঞ্জন সেন, সমীর বড়ুয়া, তপন চক্রবর্তী, চৌধুরী ফরিদ ও কামাল পারভেজ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।