বঙ্গবন্ধুর সাথে তুলনা: রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় ১৩ শিক্ষক কারাগারে

পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে বঙ্গবন্ধুর সাথে বাঁশখালীর বিএনপি নেতা লিয়াকত আলীর তুলনা করার অভিযোগে হওয়া রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় ১৩ শিক্ষককে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 August 2017, 02:16 PM
Updated : 23 August 2017, 02:16 PM

বুধবার বাঁশখালীর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম সাজ্জাদ হোসেন এ আদেশ দেন।

মামলার ১৩ আসামি হলেন বাঁশখালীর বঙ্গবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রশ্নকর্তা দুকুল বড়ুয়া এবং দক্ষিণ চট্টগ্রামের ছয় উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।

অন্য আসামিরা হলেন- মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি বোয়ালখালী উপজেলার সভাপতি মো. আলী ও সাধারণ সম্পাদক আমীর হোসেন, সাতকানিয়ার সভাপতি তাহেরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মিয়া, আনোয়ারার সভাপতি আবুল কালাম, সাধারণ সম্পাদক বাদল দাশ, পটিয়ার সভাপতি মো. ইউসুফ, সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দে, সাতকানিয়ার সভাপতি অজিত কারণ, সাধারণ সম্পাদক ওয়াইজ উদ্দিন এবং চন্দনাইশ উপজেলার সভাপতি বিজন ভট্টাচার্য্য, সাধারণ সম্পাদক এএইচএম সৈয়দ হোসেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী নুরুল আবছার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, শুরুতে ৫৪ ধারায় মামলাটি করা হয়েছিল।

“স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিয়ে পরে সেটি রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয়েছে।”

এ মামলায় গত ১১ জুলাই হাই কোর্ট থেকে ছয় সপ্তাহের জামিন নেন ১৩ শিক্ষক।

আইনজীবী নুরুল আবছার বলেন, সেই জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় বুধবার বাঁশখালীর আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে তা নামঞ্জুর করে সব আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

“একজন শিক্ষক প্রশ্নকর্তা এবং বাকি ১২ জন দক্ষিণ জেলার ছয় উপজেলার শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তাদের বিরুদ্ধে যোগসাজোশের অভিযোগ আনা হয় মামলায়।”

গত বছরের ১৭ জুলাই নবম শ্রেণির অর্ধবার্ষিক পরীক্ষার ‘বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়’ বিষয়ের সৃজনশীল প্রশ্নপত্রের ৪ নম্বর প্রশ্নে দক্ষিণ জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি লিয়াকত আলীকে জাতির জনকের সাথে তুলনা করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে।

ওই ঘটনা তদন্তে দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি করে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।

এর একদিন পর গত বছরের ১৯ জুলাই বাঁশখালী উপজেলা সদর থেকে গ্রেপ্তার হন শিক্ষক দুকুল বড়ুয়া এবং বাঁশখালী মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও কালীপুর নাসেরা খাতুন বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তাহেরুল ইসলাম।

ওই রাতে বাঁশখালী থানার সেসময়ের এএসআই নুরুল আনোয়ার এই মামলা করেন।

গ্রেপ্তারের পর দুকুল বড়ুয়া ৪৯ দিন এবং তাহেরুল ইসলাম ১৫ দিন হাজতবাসের পর জামিনে মুক্ত হন বলে জানান তাদের আইনজীবী নুরুল আবছার।