ধর্ষিত শিশুটি বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) চিকিৎসাধীন।
তবে ধর্ষণের পাঁচদিন পরও মামলা করেনি শিশুটির পরিবার।
চট্টগ্রাম মেডিকেলের ওসিসির সমন্বয়ক মাফরুহা নিগার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, শিশুটিকে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে।
“হাসপাতালে ভর্তির প্রথম দুইদিন সে খুবই আতংকিত ছিল। কাউন্সিলিং করে তাকে স্বাভাবিক করা হয়েছে।”
পরিবারকে মামলা করার জন্য ওসিসি থেকে বলা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “তারা ঝামেলার শঙ্কায় মামলা করতে ভয় পাচ্ছে। তাদের আমরা বিভিন্নভাবে বোঝানোর চেষ্টা করছি তারা যেন মামলা করে।”
মেয়েটির মা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, তিনি পোশাক শ্রমিক ও স্বামী গাড়ি চালক। পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে আল-আমীন নামে এক যুবক তাদের বাসায় যাওয়া আসা করত।
“বাসায় কেউ না থাকার সুযোগে গত ১৭ অগাস্ট আল-আমীন তার মেয়েকে ধর্ষণ করে এবং বিষয়টি কাউকে প্রকাশ না করার জন্য হুমকি দেয়,” বলেন তিনি।
আনুমানিক ৩২ বছর বয়েসী আল-আমীন পেশায় বৈদ্যুতিক মিস্ত্রি। ডবলমুরিং থানার চৌমুহনি সিলেটি কলোনিতে থাকলেও তার বাড়ি কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার শহীদনগর শফিপুর গ্রামে।
শিশুটির মা বলেন, “ঘটনার দিন আল-আমীন আমার মেয়েকে টাকা দিয়ে পালিয়ে যান। আমাদের প্রতিবেশী এক মহিলা আমার মেয়েকে কান্না করতে দেখে কি হয়েছে জানতে চান। তখন সে বলতে অস্বীকৃতি জানালেও পরে তাকে বুঝিয়ে বিষয়টি জেনে নেয়। আমি রাতে বাসায় ফিরে ধর্ষণের বিষয়টি জানতে পারি।”
এদিকে স্থানীয়রা ওইদিন রাতেই তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেলের ওসিসিতে পাঠিয়ে দিয়ে বিষয়টি ‘মীমাংসা’ করে দেয়ারও প্রস্তাব দিয়েছে।
এ ঘটনার পর বাড়িওয়ালা তাদের বাসা থেকে বের করে দিয়ে বাসায় তালা লাগিয়ে দিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন শিশুটির মা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডবলমুরিং থানার ওসি মহিউদ্দিন সেলিম বলেন, শিশুটির পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ করা হয়নি। হাসপাতাল থেকে জানানোর পর পুলিশ পাঠিয়ে তাদের সাথে কথা বলা হয়েছে।
শিশুটির পরিবার মামলা করতে না চাইলেও এ ঘটনায় মামলায় গ্রহণ করা হবে বলে জানান ওসি।