প্রস্তাব অনুযায়ী, সড়কটির আট দশমিক ৩৯ কিলেমিটার অংশ সম্প্রসারণ করে প্রস্থে ৬০ ফুট (চার লেন) করা হবে। এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে ডিজিটাল সার্ভে শেষ করা হয়েছে বলে চসিক কর্মকর্তারা জানান।
সম্প্রসারণ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সোমবার নগর ভবনে ওই রাস্তার দুই পাশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন।
সম্প্রসারণের জন্য প্রস্তাব করা সড়কটির অধিকাংশ জায়গার মালিকানা চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের।
সভায় জানানো হয়, সড়কের ড্রাইডক থেকে বোট ক্লাব পর্যন্ত এক দশমিক নয় কিলোমিটার অংশ চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ নিজস্ব অর্থায়নে সম্প্রসারণ করবে। সম্প্রাসারিত চার লেনের সড়কে ফুটপাত ও মিডিয়ান স্ট্রিপ থাকবে।
সভায় মেয়র নাছির বলেন, বিমানবন্দর থেকে শহরে আসা পর্যন্ত সড়কপথটির অনেকাংশ ভাঙ্গা ও সংর্কীণ। এজন্য দেশের আমদানি-রপ্তানি পণ্য পরিবহনে বিঘ্ন এবং যাতায়াতকারী দেশি-বিদেশি লোকজনদের ভোগান্তির শিকার হতে হয়।
“এছাড়া সিমেন্ট ক্রসিং থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত সড়কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা রয়েছে। বন্দরনগরী চট্টগ্রামের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও এই সড়কের দুপাশে স্থাপন করা গুরুত্বপূর্ণ শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর চাহিদা বিবেচনা করে সড়কটি চার লেনে উন্নীত করা এখন সময়ের দাবি।”
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, সাইলো, বিমানবন্দর, বিমান বাহিনী, নৌ-বাহিনী, চট্টগ্রাম ড্রাইডক, রেলওয়ে, হাইড্রেলবার্গ সিমেন্ট, মেরিন ওয়ার্কশপ, টিএসপি কমপ্লেক্স, ইলিয়াছ ব্রাদার্স, বিওটিটি ওয়েল রিফাইনারি, পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, সাউথইস্ট ট্যাংক টার্মিনাল, স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি, এমজেএল বাংলাদেশ, চট্টগ্রাম বোটক্লাব, আবুল খায়ের গ্রুপ ও বাটারফ্লাই পার্কসহ ২১টি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।