চবিতে হালদা গবেষণা কেন্দ্রের যাত্রা শুরু

হালদা নদীতে মাছের প্রাকৃতিক প্রজননক্ষেত্র সংরক্ষণ ও উন্নয়নের লক্ষ্য নিয়ে যাত্রা শুরু করেছে দেশের একমাত্র একক নদীভিত্তিক গবেষনাকেন্দ্র ‘হালদা রিভার রিসার্চ ল্যাবরেটরি’।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 August 2017, 03:38 PM
Updated : 20 August 2017, 03:38 PM

রোববার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) জীববিজ্ঞান অনুষদে এ গবেষণা কেন্দ্রের উদ্বোধন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চবির উপাচার্য ড. ইফতেখার উদ্দিন বলেন, “আগের তুলনায় হালদা নদীতে মাছের ডিম কম পাওয়া যাচ্ছে, যা উদ্বেগজনক।”

নতুন গবেষণাগারটি হালদার অপার সম্ভাবনার নতুন দ্বার উন্মোচন করবে- এমন প্রত্যাশার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, হালদা নিয়ে যে কোনো গবেষণায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় পাশে থাকবে।

হালদা নিয়ে গবেষণা করতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের বিশেষ ফেলোশিপের ব্যবস্থা করার অঙ্গিকারও করেন উপাচার্য।

তিনি আক্ষেপ করে বলেন, “ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিদেশে কোটি কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছেন। অথচ হালদা পাড়ের সন্তান হয়েও তিনি কখনো হালদা নিয়ে কিছু করেননি যা খুবই দুঃখজনক।”

হালদা নদী (ফাইল ছবি )

অন্যদিকে হালদা রক্ষায় এ নদীর দুই পাড়ে তামাক চাষ বন্ধ করতে হবে বলে মত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য সচিব ও পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবদুল করিম।

তিনি বলেন, “আমি হালদা পাড়ের সন্তান। এ নদীতে গোসল করে আমি বড় হয়েছি। গবেষণার এ উদ্যোগে আমি অত্যন্ত আনন্দিত।

“হালদাকে রক্ষা করতে হলে দুই পাড়ের তামাক চাষ অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। অন্যথায় এ নদী তার প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য হারাবে।”

প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন) ও এটুআই (অ্যাক্সেস টু ইনফরমেশন) এর প্রকল্প পরিচালক মো. করিম বিন আনোয়ার বলেন, “হালদা নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে দেখেছি, এ খালের উৎসমুখে বৃক্ষ নিধন করে ঘরবাড়ি তৈরি করা হয়েছে।”

এর ফলে হালদার জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়বে বলেও আশংকা প্রকাশ করেন তিনি।

পরে হালদা নদীর জীববৈচিত্রের উপর একটা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কবির বিন আনোয়ার।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মনজুরুল কিবরিয়া ও সভাপতিত্ব করেন একই বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. গাজী আজমত।

হালদা নদী নিয়ে এ গবেষণায় তিন বছরে তিন ধাপে গবেষণার জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির যোগান বেবে পল্লীকর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন ও ইন্টিগ্রেটেড ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন। এ গবেষণাগারে একটি জাদুঘরও থাকবে যেখানে ডলফিন ও নদীর বড় আকৃতির মাছগুলো সংরক্ষণ করা হবে।