গ্রেপ্তার মো. জাহিদুল হক ওরফে সুমন (২৬) সোমবার চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম আবু সালেম মোহাম্মদ নোমানের আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।
গত ২ অগাস্ট নগরীতে চালককে ছুরি মেরে হত্যার পর ব্যাটারিচালিত রিকশা ছিনতাই চেষ্টা এবং এর আগে ৮ অগাস্ট সাতকানিয়ায় চালককে খুন করে ছিনতাইয়ের ঘটনায় সুমন জড়িত ছিলেন বলে জাবনবন্দিতে স্বীকার করেছেন।
নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (কোতোয়ালী জোন) জাহাঙ্গীর আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গত ২ অগাস্ট রাতে বাকলিয়া থানার রাহাত্তারপুল এলাকায় এক চালককে ছুরি মেরে ব্যাটারিচালিত একটি রিকশা ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে একদল ছিনতাইকারী।
ঘটনার কয়েক ঘন্টা পর আব্দুল জলিল নামে ওই রিকশা চালকের লাশ ঘটনাস্থলের পাশ থেকে উদ্ধার করা হয় বলে জানান বাকলিয়া থানার ওসি প্রণব কুমার চৌধুরী।
এ ঘটনায় রিকশা চালকের বড় ভাই মো. কায়সার বাদী হয়ে একটি মামলা করলে জড়িতদের ধরতে পুলিশের একটি দল মাঠে নামে জানিয়ে সহকারী কমিশনার জাহাঙ্গীর বলেন, “গত ৮ অগাস্ট ভোরে সাতকানিয়ায় চালককে খুন করে রিকশা নিয়ে পালানোর সময় দুজনকে গ্রেপ্তার করে চন্দনাইশ থানা পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে তারা আরও একজনের জড়িত থাকার কথা জানায়।”
চন্দনাইশে গ্রেপ্তার দুজনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, রোববার রাতে বন্দর থানার মাইলের মাথা এলাকা থেকে সুমনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সাতকানিয়ায় চালক খুন করে অটো রিকশা ছিনতাইয়ের পাশাপাশি রাহাত্তার পুল এলাকার ঘটনায়ও জড়িত থাকার কথা সুমন জবানবন্দিতে স্বীকার করেছেন বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর।
জবানবন্দিতে সুমন জানায়, সাতকানিয়ায় গ্রেপ্তার বেলাল তার আত্মীয়। স্ত্রীর অসুখের কারণে আর্থিক সংকটে পড়ায় সে বেলালের সঙ্গে যোগাযোগ করে। বেলালের মাধ্যমে পরিচয় সালাউদ্দিন ও জাকিরের সঙ্গে।
গত ২ অগাস্ট রাতে তারা চারজন মাইলের মাথা থেকে রওনা হয়ে রাহাত্তার পুলে বেলালের বাসায় যায়। সেখান থেকে রাত দুইটার দিকে বের হয়ে একটি ব্যটারিচালিত রিকশা ভাড়া করেন।
বাকলিয়া লাস্ট মাথা এলাকায় যাওয়ার পর সেখানে লোকসমাগম থাকায় তারা চালককে অন্যদিকে যেতে বলে। কিছুক্ষণ পর সালাউদ্দিন চালককে ছুরি দিয়ে আঘাত করে। তখন অন্য একটি রিকশা ও দুটি গাড়ি সেখানে চলে আসে। এ অবস্থায় তারা অটো রিকশাটি নিতে না পেরে চালকের মোবাইল ফোন নিয়ে পালিয়ে যায়।
মোবাইল ফোনটি পরে ২০০ টাকায় রেয়াজউদ্দিন বাজারে বিক্রির কথা জবানবন্দিতে জানান সুমন।