বৃহস্পতিবার বিকালে নগরীর নুপুর মার্কেট এলাকা থেকে মৃত সাপটি উদ্ধার করা হয়।
দণ্ডিতরা হলেন- রাজীব ও রহমতউল্লাহ। তারা রেয়াজউদ্দিন বাজারের নুপুর মার্কেটের ‘বন্দর বিতান’ নামের একটি দোকানের কর্মচারী।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফোরকান এলাহী অনুপম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বিকালে চট্টগ্রাম রেল স্টেশন এলাকায় মাঝারি আকারের একটি অজগরকে তারা পিটিয়ে মারে।
স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সেখানে হাজির হয়ে দুইজনকে হাতেনাতে ধরে ফেলে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফোরকান বলেন, “গ্রেপ্তাররা বলেছে, ওই সাপের চামড়া তারা পশুর চামড়া এবং হাড়গোড় দিয়ে তাবিজ ও ওষুধ তৈরি করে এমন একটি দোকানে বিক্রি করতে চেয়েছিল।”
পরে বন্য প্রাণি সংরক্ষণ আইন-২০০৪ এর ৫ ও ১১ ধারা অনুসারে গ্রেপ্তার দুইজনের প্রত্যেককে ছয় মাস করে কারাদণ্ডের আদেশ দিয়ে তাদরকে কোতোয়ালী থানায় হস্তান্তর করা হয় বলে জানান তিনি।
চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার ভারপ্রাপ্ত ডেপুটি কিউরেটর শাহাদাত হোসেন শুভ জানান, মৃত সাপটি চিড়িয়াখানায় পাঠানোর কথা বলা হয়েছে।
“সেটি পেলে সংরক্ষণ করব। অজগর সাপের চামড়া খুব বেশি দামে বিক্রি হয় না। অজ্ঞতা থেকেই সাপ মেরে চামড়া তুলে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল তারা।”
চলতি বর্ষা মৌসুমের শুরু থেকেই নগরী ও মিরসরাই উপজেলার বিভিন্ন স্থানে লোকালয়ে বেশ কয়েকটি বড় ও মাঝারি আকারের অজগর সাপ ধরা পড়েছে।
বন বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, বর্ষায় পাহাড়ি ঢল ও ভারি বর্ষণের কারণে খাবারের সন্ধানে অজগর লোকালয়ে নেমে আসে।
উদ্ধার হওয়া প্রায় সবগুলো অজগরই স্থানীয় বন বিভাগের সহায়তায় সংলগ্ন বনে ছেড়ে দেওয়া এবং চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নেয় স্থানীয়রা।