এই ঘটনায় শিক্ষার্থীর পরিবারের করা মামলায় মঙ্গলবার শিক্ষক আরিফ বিল্লাহকে কারাগারে পাঠিয়েছে চট্টগ্রামের আদালত।
তিনি নগরীর বেপজা পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের গণিতের শিক্ষক। আহত শিক্ষার্থী ওই বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র।
নয় দিন আগে জখম হওয়ার পর ওই শিক্ষার্থী এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার জখম চোখটির দৃষ্টিশক্তি ফেরার সম্ভাবনা ক্ষীণ জানার পর সোমবার পরিবার থানায় মামলা করে।
মামলার পরপরই শিক্ষক আরিফকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে বলে জানান ইপিজেড থানার এসআই মোহাম্মদ সায়েম, যিনি মামলাটির তদন্ত করছেন।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “গত ২৯ জুলাই শ্রেণিকক্ষে শিক্ষক আরিফ বিল্লাহ ডাস্টার দিয়ে আঘাত করলে ওই ছাত্রের চোখে মারাত্মক জখম হয়।”
“তার ডান চোখে মারাত্মক জখম হয়েছে। চিকিৎসকরা বলছেন, অপারেশন করাতে হবে, তবে দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ।”
স্কুলের অন্যান্য শিক্ষার্থীরাও শিক্ষক আরিফ বিল্লাহর বিরুদ্ধে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ করেছে বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা সায়েম।
“শিক্ষক আরিফ বিল্লাহ উগ্র স্বভাবের। পাঠদান করতে গিয়ে শিক্ষার্থীদের মারধর করতেন বলে আমরা জেনেছি।”
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের বেত্রাঘাতসহ যে কোনো ধরনের নির্যাতনে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।