চট্টগ্রামের মহেশখালের দুপাড় দখলমুক্তে অভিযান শুরু

দখলে-দূষণে বিপর্যস্ত চ্ট্টগ্রাম নগরীর মহেশখালের দুই পাড়ে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (সিসিসি)।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 August 2017, 02:35 PM
Updated : 8 August 2017, 02:36 PM

চার মাসের জরিপ শেষে মঙ্গলবার সকাল ১১টা থেকে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের উপস্থিতিতে এ অভিযান শুরু হয়।

খালের দুই পাশ পুরোপুরি দখলমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত অভিযান চলবে বলে জানিয়েছেন অভিযানের দায়িত্বে থাকা সিসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সনজিদা শরমিন।

এদিকে সময় না দিয়েই উচ্ছেদ অভিযান চালানোয় অনেকেই সর্বস্বান্ত হয়ে পড়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন উচ্ছেদের শিকাররা।

অভিযানের সময় ঘরের নিত্যপ্রয়োজনীয় অনেক জিনিস বুলডোজারের আঘাতে গুঁড়িয়ে যায় বলে অভিযোগ তাদের।

জানতে চাইলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সনজিদা শরমিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা চার মাস ধরে জরিপ কাজ করেছি। এরপর সপ্তাহ ধরে এ এলাকায় উচ্ছেদ অভিযানের তথ্য জানিয়ে মাইকিং করা হয়েছে।

“এরপরও দখলদাররা সরে না যাওয়ায় আমরা উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছি। মহেশখাল দখলমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত এ অভিযান চলবে।”

কলোনির কেউ উচ্ছেদের বিষয়ে করা মাইকিং শুনতে পারেননি দাবি করে এদিনের অভিযানে উচ্ছেদ হওয়া ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আলী এরশাদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা তাদের কাছে মাত্র দশটা মিনিট সময় চেয়েছি, কিন্তু তাও দেয়নি। বুলডোজারের চাপায় ঘরের অনেক প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নষ্ট হয়ে গেছে। তারা আমাদের এ ক্ষতিটা না করলেও পারত। এখন আল্লাহর কাছে বিচার দিচ্ছি।”

এসময় আলী আশরাফের পাশে থাকা উচ্ছেদের শিকার অনেকেই তার কথা সমর্থন করে নিজেদের ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকেন। 

খালের পাড় ঘেঁষে গড়ে উঠা নতুন সাব-কলোনির বাসিন্দা আলী এরশাদ জানান, সেখানে দুটি কলোনি। একটি সামশুদ্দিন কলোনি ও আরেকটি নতুন সাব কলোনি। দুই কলোনিতে মোট ৩২৬ টি পরিবারের বসবাস।

সরেজমিনে দেখা যায়, হালিশহর এলাকার ফইল্যাতলি বাজারের পেছনে বয়ে যাওয়া মহেশখালের দুপাড় ঘেঁষে গড়ে উঠেছে কলোনি এবং ধর্মীয় ও বাণিজ্যিক স্থাপনা। দূষণে কালো বর্ণ রুপ নেওয়া খালের পানিতে আবর্জনার স্তুপ।

প্রায় পৌনে সাত কিলোমিটার দীর্ঘ এ খাল দুপাশ থেকে ক্রমাগত দখলে সংকীর্ণ হয়ে পরিণত হয়েছে যেন আবর্জনার ভাগাড়ে।

সিসিসির ভূ-সম্পত্তি বিভাগের কর্মকর্তা এখলাসুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, নগরীর জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের পাশে মহেশখালের উপর থাকা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের মধ্য দিয়ে অভিযান শুরু করা হয়।

স্টেডিয়ামের পাশ থেকে গয়নাছড়া পর্যন্ত মহেশখালের দুপাড়ে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার ধরে চলা এ অভিযানে ৫০০ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয় বলে জানান তিনি।