পুলিশ কর্মকর্তার চুরি হওয়া পিস্তল পাঁচ মাস পর উদ্ধার

পাঁচ মাস আগে এক পুলিশ কর্মকর্তার বাসা থেকে চুরি হওয়া পিস্তল উদ্ধার করেছে পাঁচলাইশ থানা পুলিশ।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 July 2017, 12:49 PM
Updated : 27 July 2017, 12:49 PM

বৃহস্পতিবার ভোর রাতে নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানার কুঞ্জছায়া আবাসিক এলাকা থেকে অস্ত্রটি উদ্ধার করা হয় বলে জানান পাঁচলাইশের ওসি মহিউদ্দিন মাহমুদ।

এ ঘটনায় আসাদুল ইসলাম বাবুল (৩৯) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বাবুলকে পেশাদার চোর ও ছিনতাইকারী বলছে পুলিশ।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে ওসি মহিউদ্দিন বলেন, গত ২ মার্চ খুলশী থানার আল ফালাহ গলিতে পাঁচলাইশ থানার এসআই হাসান আলীর বাসা থেকে ১৬ রাউন্ড গুলি, দুইটি ম্যাগজিন ও ৭ পয়েন্ট ৬২ এমএম পিস্তলটি চুরি হয়।

এ ঘটনায় থানাসহ পুলিশের বিভিন্ন সংস্থা তদন্ত শুরু করে জানিয়ে তিনি বলেন, “গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পাঁচলাইশ থানা পুলিশের একটি দল বায়েজিদ বোস্তামী থানার কুঞ্জছায়া আবাসিক এলাকায় বাবুলের বাসা থেকে অস্ত্রটি উদ্ধার করে।

“বাবুলের বাসা থেকে তালা ও গ্রিল কাটার যন্ত্রপাতি, মহিলাদের ব্যাগ, ইমিটেশনের অলঙ্কার, কাপড়সহ বিভিন্ন ধরনের মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে।”

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ সদস্য বলেন, সরকারি অস্ত্র ও ম্যাগজিনে একটি নম্বর ও উৎপাদনকারী দেশের নাম লেখা থাকে। চুরির পর বাবুল পিস্তল থেকে সেই নম্বর ও দেশের নাম ঘসে তুলে ফেলে। এছাড়া ম্যাগজিনের নম্বরও তুলে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে।

“পিস্তলের ভেতরে থাকা নম্বরটি এসআই হাসান আলীর জন্য বরাদ্দ করা পিস্তলের নম্বর একই,” বলেন তিনি।

খুলশী থানার আল ফালাহ গলিতে ‘প্রত্যাশা’ নামে একটি ভবনের তৃতীয় তলায় এসআই হাসান আলীর বাসার তালা ভেঙ্গে চুরির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় খুলশী থানায় একটি মামলা করেছিলেন তিনি।

অস্ত্র চুরি হওয়ায় ‘দায়িত্বে অবহেলার’ কারণে হাসান আলীকে সাময়িক বরাখাস্তও করা হয়েছিল।

অভিযানের নেতৃত্বে থাকা পাঁচলাইশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ওয়ালী উদ্দিন আকবর বলেন, “চুরির পাশাপাশি বাবুল পেশাদার ছিনতাইকারী। প্রাথমিকভাবে আমরা জানতে পেরেছি সে চট্টগ্রামের অন্যতম ছিনতাইকারী হামকা নুর আলম গ্রুপের সক্রিয় সদস্য।

“এছাড়াও ইয়াবা বিক্রি ও সেবনেও বাবুল জড়িত।”

তিনি জানান, বাবুলকে শনাক্ত করার পর তার বাসায় তল্লাশি করে বিভিন্ন জিনিসপত্রগুলো পাওয়া গেছে। ওয়ারড্রবের নিচে পিস্তল ও গুলি ভর্তি ম্যাগজিন দুইটি লুকিয়ে রাখা হয়েছিল।

বাবুল পুলিশকে জানিয়েছেন, কয়েকমাস আগে চোরাই ল্যাপটপসহ তাকে গ্রেপ্তার করেছিল বায়েজিদ বোস্তামী থানা পুলিশ। তবে কয়েকদিন পরই তিনি জামিনে ছাড়া পান।

পুলিশ কর্মকর্তা ওয়ালী জানান, বায়েজিদ বোস্তামী থানায় ল্যাপটপ চুরির মামলা ছাড়াও আরও একটি মামলায় বাবুল গ্রেপ্তার হয়েছিলেন।