সোনা চোরাচালান: আত্মসমর্পণের পর কারাগারে আনসার সদস্য

চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দর দিয়ে সোনা চোরাচালানে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদকের) করা মামলার এক আসামির আত্মসমর্পণের পর তাকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 July 2017, 08:21 AM
Updated : 26 July 2017, 08:32 AM

চট্টগ্রামের মহানগর দায়রা জজ মো. শাহে নূরের আদালতে বুধবার আত্মসমর্পন করেন মামলার আসামি শাহিন মিয়া।

দুদকের আইনজীবী কাজী সানোয়ার আহমেদ লাভলু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মামলার আসামি আনসার সদস্য শাহিন মিয়া আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

এর আগে গত ৭ জুন মামলার অন্য আসামিদের মধ্যে সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা আনিসুর রহমান, বিমান বাংলাদেশের ট্রাফিক হেলপার কে এম নুরদ্দিন এবং আনসার সদস্য মাহফুজার রহমান জামিন নেন।  

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১৩ সালের ১ নভেম্বর দুবাই থেকে এয়ার এরাবিয়ার একটি বিমানে করে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসেন আলাউদ্দিন চৌধুরী।

ওইদিন তার ব্যাগ হারিয়ে গেছে অভিযোগ করে তিনি বিমানবন্দর ছাড়েন। পরদিন বিমানবন্দরের ‘হারানো ও প্রাপ্তি’ শাখায় আলাউদ্দিনকে নিয়ে হাজির হন বিমানবন্দরটির তখনকার ব্যবস্থাপকের ব্যক্তিগত সহকারী মোমেন মোকশেদ।

তারা ব্যাগটি নিয়ম বহির্ভূতভাবে ছাড় করানোর চেষ্টা করলে স্ক্যানিং করে তাতে ২৫টি সোনার বার পাওয়া যায়। এরপর সেখান থেকে সরে পড়েন মোমেন মোকশেদ ও আলাউদ্দিন।

তখন পরিত্যক্ত অবস্থায় ২৫টি সোনার বার উদ্ধারের ঘোষণা দেন শুল্ক কর্মকর্তারা।

এ ঘটনায় ২০১৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর নগরীর পতেঙ্গা থানায় স্বর্ণ চোরাচালানের অভিযোগে একটি মামলা করা হয়।

এই ছয়জন হলেন- চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ব্যবস্থাপকের সাবেক ব্যক্তিগত সহকারী মোমেন মোকশেদ, সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা আনিসুর রহমান, আনসারের সহকারী প্লাটুন কমাণ্ডার ইলিয়াস উদ্দিন, বিমানের ট্রাফিক হেলপার কে এম নুরুদ্দিন, আনসার সদস্য মাহফুজার রহমান ও শাহিন মিয়া এবং দুবাই প্রবাসী আলাউদ্দিন চৌধুরী।