জেএমবির এরশাদের মামলায় অধিকতর তদন্ত হবে

জেএমবি নেতা এরশাদ হোসেন ওরফে মামুনের বিরুদ্ধে করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 July 2017, 05:20 PM
Updated : 25 July 2017, 05:20 PM

রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে মঙ্গলবার চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. নুরুল ইসলাম এ আদেশ দেন।

চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পিপি ফখরুদ্দিন চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আজ ওই মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন নির্ধারিত ছিল। কিন্তু আমরা মামলাটিতে অধিকতর তদন্তের আবেদন করেছিলাম। আদালত অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।”

মামলাটি এখন মহানগর দায়রা জজ আদালতে ফেরতযাবে এবং সেই আদালতের যে সংস্থাকে নির্দেশ দেবে তারাই অধিকতর তদন্ত করবে বলে জানান ফখরুদ্দিন চৌধুরী।

অধিকতর তদন্ত দাবি করার কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, “আসামি এরশাদ তার জবানবন্দিতে যেসব ব্যক্তির নাম বলেছিল, তাদের বিষয়ে কোনো তদন্ত হয়নি। অথচ পরবর্তীতে বিভিন্ন জঙ্গি তৎপরতায় ওই ব্যক্তিদের সম্পৃক্ততা মিলেছে। সেই বিষয়েও অভিযোগপত্রে কিছু উল্লেখ নেই।”

২০১৫ সালের ২৩ মার্চ চট্টগ্রামের নিউ মনসুরাবাদ বাগানবাড়ি সংলগ্ন শাপলা মোড়ে রেললাইনের কাছের একটি বাসা থেকে এরশাদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

তখন ওই বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ গ্রেনেড তৈরির সরঞ্জাম, গানপাউডার, বোমাসদৃশ বস্তু ও জিহাদি বই উদ্ধার করা হয়। 

দিনাজপুরের বিরল উপজেলার বালান্দপুর গ্রামের বাসিন্দা এরশাদ গ্রামে ছাত্রশিবির করতেন এবং জেএমবিতে যোগ দিয়ে চট্টগ্রাম জেলা কমান্ডারের দায়িত্ব পান বলে পুলিশ কর্মকর্তাদের দাবি।

তারা বলছেন, ২০১১ সালে দিনাজপুরের একটি স্কুল থেকে এসএসসি পাস করা এরশাদ বগুড়ায় গিয়ে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জেএমবিতে যুক্ত হয়ে ২০১৪ সালে চট্টগ্রামে আসেন। এরপর কর্নেল হাট এলাকায় জেএমবি পরিচালিত একটি ফটোকপির দোকানে কাজ করতেন।

গ্রেপ্তারের পর ২০১৫ সালের ২৯ মার্চ চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম আদালতে জবানবন্দি দেন এরশাদ।

সেই জবানবন্দিতেরাজীব গান্ধী, রাইসুল ইসলাম ওরফে ফারদিন ও বুলবুল আহমেদ ওরফে ফুয়াদের নাম ও বিভিন্ন তথ্য দিয়েছিলেন।

পরে দেশের বিভিন্ন স্থানে জঙ্গি হামলার ঘটনায় এই তিন জঙ্গির নাম উঠে আসে।

২০১৫ সালের মে মাসে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের এই মামলায় এরশাদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।