জলাবদ্ধতায় বিপর্যস্ত চট্টগ্রাম

টানা বর্ষণে সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে চট্টগ্রামের জনজীবন।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 July 2017, 09:18 AM
Updated : 24 July 2017, 09:59 AM

চট্টগ্রামের পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের হিসেব মতে, বেলা ১২টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে বৃষ্টিপাত হয়েছে ১৯৬ দশমিক ৬ মিলিমিটার।

গত মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছিল এ বৃষ্টিপাত। শনিবার কিছুটা কম থাকলেও রোববার ভোর থেকেই শুরু হয় টানা বৃষ্টি, যা আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস কর্মকর্তা শেখ হারুনর রশিদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মৌসুমী বায়ুর তারতম্যের আধিক্যের কারণে সাগরে বাতাসের তীব্রতা বেশি। চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত অব্যাহত আছে।”

তবে মঙ্গলবার থেকে বৃষ্টিপাতের তীব্রতা কিছুটা কমতে পারে বলছেন তিনি।

এদিকে এই টানা বৃষ্টি ও জোয়ারের পানির কারণে অন্যান্য দিনের মতো সোমবারও নগরীর বিভিন্ন নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

এদিন চট্টগ্রাম নগরীর আগ্রাবাদ এক্সেস রোড, আগ্রাবাদ সিডিএ, কমার্স কলেজ, বারিক বিল্ডিং মোড়, চকবাজার, হালিশহর, ইপিজেড মোড়, ষোলশহর ২ নম্বর গেইট, মুরাদপুর, বাকলিয়া, প্রবর্তক মোড়সহ বিভিন্ন এলাকা হাঁটু থেকে কোমর পানিতে তলিয়ে যায়।     

সোমবার টানা বৃষ্টিপাতের কারণে সকাল থেকেই নগরীতে গণ পরিবহনের সংখ্যা কম ছিল। ব্যক্তিগত যানবাহন, রিকশা, অটোরিকশাসহ অন্যান্য যানবাহন চলাচলও ছিল কম।

যানবাহন স্বল্পতায় অফিস ও স্কুল কলেজমুখী মানুষেরা যাতায়াতে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয়। অতিরিক্ত ভাড়া গুণেও যাত্রীরা যানবাহনে করে তাদের গন্তব্যে ঠিক সময়ে পৌঁছাতে পারেন নি।

কয়েকদিনের টানা বৃষ্টির ফলে সকাল থেকে নগরবাসীকে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর হতে বের হতে দেখা যায়নি। নগরীর বিভিন্নি সড়কেও লোকজন চলাচলের সংখ্যাও ছিল অনেক কম।

দেশের অন্যতম পাইকারী বাজার খাতুনগঞ্জ, আছদগঞ্জ ও চাক্তাই এলাকাও অতি বর্ষণ ও জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে।

এতে করে ব্যবসায়ীরা তাদের আড়ত ও দোকান খুললেও সোমবার দুপুর পর্যন্ত কোনো বেচাকেনা হয়নি বলে জানান খাতুনগঞ্জ ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েসনের সাংগঠনিক সম্পাদক জামাল হোসেন।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, খাতুনগঞ্জ ও আছদগঞ্জের প্রায় সব আড়ত পানিতে তলিয়ে গেছে। মালামাল বাঁচানোর জন্য অনেক ব্যবসায়ী ট্রাকে মালামাল ভরে তা অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছেন।

এদিকে কাপ্তাই লেকের উচ্চতা বৃদ্ধি পাওয়ায় কয়েকদিন ধরে সেখান থেকে পানি ছাড়া হচ্ছে।