সীতাকুণ্ডের শিশুদের মৃত্যু তদন্তে দুটি কমিটি

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ত্রিপুরা পাড়ায় চার দিনে নয় শিশুর মৃত্যু এবং আরও শিশুর অসুস্থতার কারণ অনুসন্ধানে দুটি কমিটি করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 July 2017, 03:19 PM
Updated : 13 July 2017, 04:45 PM

বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় এবং সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটিগুলো করা হয়।

চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী বিডিনউিজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মিরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. আবদুল মালেককে প্রধান করে গঠিত তিন সদস্যের কমিটিকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

এছাড়া সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পক্ষ থেকে করা কমিটির প্রধান করা হয়েছে সেখানকার এক চিকিৎসা কর্মকর্তাকে।  এ কমিটিকেও তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

দুর্গম পাহাড়ি পাড়াটিতে গত মাসের শেষ দিকে শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়তে থাকে। চার দিনের ব্যবধানে নয়টি শিশুর মৃত্যুর খবর জানার পর বুধবার প্রশাসন নড়েচড়ে বসে।

রোগ গবেষণা ইনস্টিটিউট আইইডিসিআরের একটি দল বুধবারই পাহাড়ি ওই এলাকায় রওনা হন। দলটির অসুস্থ শিশুদের পর্যবেক্ষণ করে বলেছে, দীর্ঘদিনের অপুষ্টিই এই মৃত্যুর কারণ বলে তারা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা ত্রিপুরা পাড়ার ১৩ শিশুকে দেখার পর বৃহস্পতিবার আইইডিসিআরের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. ফারুক আহমেদ ভুইয়া সাংবাদিকদের বলেন, দীর্ঘদিনের মারাত্মক পুষ্টিহীনতার কারণে শিশুদের শরীরে সহজে নানা ধরনের সংক্রমণ ঘটতে পারে।

“ওদের আর্থ সামাজিক অবস্থানের কারণে দীর্ঘদিন ধরে তারা অপুষ্টিতে ভুগছিল। এ কারণেই তারা আক্রান্ত হয়েছে, প্রাথমিকভাবে এটাই আমাদের ধারণা।”

সার্বিকভাবে পর্যবেক্ষণ করে, সমস্ত তথ্যউপাত্ত বিশ্লেষণ করে দুই দিনের মধ্যে সুনির্দিষ্ট কারণ বলার আশা দিয়েছেন এই রোগ গবেষক।

সীতাকুণ্ডের বারআউলিয়া সোনাইছড়ির যে পাড়ায় শিশুদের মধ্যে এই অসুস্থতা দেখা দিয়েছে, সেখানে পাহাড়িরাই বসবাস করেন। তাদের অধিকাংশের জীবন চলে জুমচাষ ও দৈনিক শ্রমের ভিত্তিতে।

ত্রিপুরা পাড়ার শতাধিক শিশুর মধ্যে স্কুলে যায় হাতেগোণা কয়েকজন। তাদের জীবন মূলত পাহাড়ে নিজেদের আবাসস্থলের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। প্রশাসন জানার আগে অসুস্থ শিশুদের হাসপাতালেও নেওয়া হয়নি।