চট্টগ্রামে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত

চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়েছে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকচট্টগ্রাম ব্যুরো ওবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 July 2017, 09:43 AM
Updated : 11 July 2017, 03:45 PM

মঙ্গলবার বেলা আড়াইটার দিকে লোহাগাড়ার বড় হাতিয়ার ফরিদারঘোনায় এলাকায় বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার আগে দুই পাইলট প্যারাশুটে নেমে আসেন বলে স্থানীয়রা জানান।

বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার পরপরই যোগাযোগ করা হলে লোহাগাড়া থানার ওসি মো. শাজাহান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বড় হাতিয়ার ফরিদারঘোনায় দুর্গম এলাকায় বিমানবাহিনীর একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়।”

যোগাযোগ করা হলে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রাশিদুল হাসান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ওটা ছিল প্রশিক্ষণ বিমান। দুজন পাইলট ছিল, তারা অক্ষত আছেন।”

ওই বিমানে থাকা উইং কমান্ডার নাজমুল ও স্কোয়াড্রন লিডার কামরুল প্যারাশুট নিয়ে নিরাপদে বেরিয়ে আসেন বলে বাহিনীর একজন কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান। 

স্থানীয়রা জানান, বিমানটি বড় হাতিয়ার ২ নম্বর ওয়ার্ডের ফরিদারঘোনার ফয়েজ আহমদের লিচু বাগানের কাছে বিধ্বস্ত হয়।

বেলা সোয়া ২টার দিকে বিমানটি চট্টগ্রামের জহুরুল হক বিমান ঘাঁটি থেকে উড্ডয়ন করেছিল।

বিমানটি যেখানে বিধ্বস্ত হয়, তার কাছের বাগানে কর্মরত আবু তাহের নামে স্থানীয় একজন সাংবাদিকদের বলেন, “বিমানটি পড়ার আগে দুজন প্যারাশুটে করে নেমে আসে। এদের একজন গাছে আটকা পড়লে তাকে উদ্ধার করা হয়।”

বিকালে বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টার এসে দুই বৈমানিককে নিয়ে যায় বলে স্থানীয়রা জানান।

আইএসপিআরের সহকারী পরিচালক নূর ইসলাম জানান, ইয়াক-১৩০ মডেলের ওই প্রশিক্ষণ বিমানটি কেন বিধ্বস্ত হল, সে বিষয়ে এখনও কিছু জানতে পারেননি তারা।

বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে রা‌শিয়ার তৈরি কমব্যাট প্রশিক্ষণ বিমান ইয়াকভলেভ ইয়াক-১৩০ এর প্রথম কমিশনিং হয় ২০১৫ সালে।

তিন হাজার কিলোগ্রাম গোলাবারুদ বহনে সক্ষম এই উড়োজাহাজ প্রশিক্ষণের পাশাপাশি যুদ্ধকালীন সময়ে আকাশ প্রতিরক্ষা, প্রয়োজনে আক্রমণেও ব্যবহার করা যায়।