বুধবার চট্টগ্রাম মেট্রেপালিটন পুলিশের (সিএমপি) পক্ষ থেকে অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (পশ্চিম) নাজমুল হাসানকে প্রধান করে কমিটিটি হয়েছে বলে ঊর্ধ্বতন এক পুলিশ কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন।
কমিটিতে সদস্য রাখা হয়েছে সহকারী কমিশনার (ডবলমুরিং জোন) ও গোয়েন্দা পুলিশের একজন পরিদর্শককে।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের জিজ্ঞাসায় সিএমপি কমিশনার মোহাম্মদ ইকবাল বাহার বলেন, “একজন পুলিশ পরিদর্শকের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসায় তা তদন্ত করার জন্য এ কমিটি করা হয়েছে।”
বর্তমানে দামপাড়া পুলিশ লাইনে সংযুক্ত পরিদর্শক মাইনুল গত সোমবার গভীর রাতে মদ্যপ অবস্থায় নগরীর আগ্রাবাদ মোড়ের হোটেল সেন্ট মার্টিনের রুম বয় এবং ডবলমুরিং থানার এক এসআইকে মারধর করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন পুলিশ কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, পুলিশ কর্মকর্তা মাইনুল সাদা পোশাকে হোটেল সেন্ট মার্টিনে গিয়েছিলেন। রুম বয় তার চাওয়া অনুযায়ী ব্রান্ডের মদ দিতে না পারায় তাকে মারধর করেছিলেন তিনি। হোটেলের এক নিরাপত্তাকর্মীও তার প্রহারের শিকার হয়েছিলেন।
“রাত দেড়টায় ওই ঘটনা ঘটিয়ে ফিরে আসার পর মাইনুল পুনরায় গাড়িতে করে ওই হোটেলে গিয়ে ‘মোবাইল ডিউটি’তে থাকা ডবলমুরিং থানার এসআই সৈয়দ আলমের সঙ্গে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে তাকেও মারধর করেন।”
ওই কর্মকর্তা বলেন, এসআই সৈয়দ অভিযোগ করার পর কয়েকজন কর্মকর্তা হোটেলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে অভিযোগের সত্যতা পেলে এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
তদন্ত কমিটিকে আগামী সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে বলে জানান সিএমপি কমিশনার ইকবাল বাহার।
তিনি বলেন, “কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ওই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
মাইনুল খুলশী থানার ওসির দায়িত্ব পালনের পর সদরঘাট থানার ওসি ছিলেন।
ছাত্রলীগের সাবেক এক নেতাকে পিটিয়ে আহত করার পর স্ত্রীসহ আটকের ঘটনার জেরে গত বছর মাইনুলকে ওসির দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছিল।