বুধবার বেলা আড়াইটার দিকে সড়কের সাপছড়ি শালবাগানে ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক মেরামত শেষে ওই এলাকা যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়।
রাঙামাটি সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী এমদাদ হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “হালকা যানবাহন চলাচলের মধ্য দিয়ে রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কে যোগাযোগ যোগাযোগ পুনঃস্থাপিত হল।”
গত ১৩ জুনের ভয়াবহ পাহাড় ধসের ঘটনায় ১১৮ জন মারা যাওয়ার পাশাপাশি রাঙামাটির সঙ্গে চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জেলার সংযুক্ত সড়কের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় শাপছড়ি শালবাগান এলাকা।
পাহাড় ধসে সড়ক ভেঙে যাওয়ায় এই নয় দিন রাঙামাটি শহর থেকে সাপছড়ি শালবাগানের কিছু আগ পর্যন্ত অটোরিকশায় যাওয়া যাচ্ছিল। তারপর হেঁটে ধসের এলাকা পার হয়ে অপর প্রান্ত থেকে ফের অটোরিকশায় ঘাগড়া বাজারে গিয়ে বাসে করে চট্টগ্রাম যাওয়া-আসা করতে হচ্ছিল যাত্রীদের।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এম এ এন ছিদ্দিকুর রহমান জানান, রাঙামাটি-চট্টগ্রাম, রাঙামাটি-বান্দরবান, রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি সড়কের সাতটি রুটে ১৪৫টি স্থানে পাহাড় ধস হয়েছে। এছাড়া ৩৭টি স্থানে সড়ক ভেঙে গেছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগ এবং সেনাবাহিনীর সদস্যরা পুরোদমে মেরামত চালিয়ে যাচ্ছেন।
অন্যদের মধ্যে ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল জাহাঙ্গীর কবীর তালুকদার, চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার রুহুল আমীন, রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মানজারুল মান্নানসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।