রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়ক বুধবার চালুর আশা

মেরামত কাজ পুরোদমে শুরুর পর রাঙামাটির সঙ্গে চট্টগ্রামের সড়ক যোগাযোগ বুধবার থেকে চালুর চেষ্টা চলছে।

মিন্টু চৌধুরী রাঙামাটি থেকেবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 June 2017, 05:12 PM
Updated : 20 June 2017, 06:44 PM

আবহাওয়া বৈরী না হলে বুধবার বিকালের মধ্যে অটোরিকশাসহ হালকা যানবাহন এই সড়কটি দিয়ে চলাচল করতে পারবে বলে আশা করছেন সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের রাঙামাটির নির্বাহী প্রকৌশলী এমদাদ হোসেন।

চট্টগ্রাম থেকে রাঙামাটির পথে সাপছড়ি শাল বাগান এলাকায় দেড়শ ফুট নিচে দেবে যাওয়া সড়কের অংশ নতুন করে তৈরির জন্য সেনাবাহিনী ও সওজ কর্মীরা দিনরাত কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।

এমদাদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “নিচে দেবে যাওয়া অংশ হালকা যানবাহন চলাচলের উপযোগী করে তৈরি করা হচ্ছে। সেনাবাহিনী ও সওজ কর্মীরা এটি তৈরিতে অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন।”

মঙ্গলবার বিকালে শালবাগান এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সেনা সদস্য ও সওজের শ্রমিকরা এক্সক্যাভেটর দিয়ে মাটি কেটে সমতল করার পর বালি ফেলে তার উপরে ইট বিছিয়ে দিচ্ছেন।

সেখানে মেরামত কাজের তদারকির দায়িত্বে থাকা সেনাবাহিনীর ১৯ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাশফিক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সড়কের এই অংশটি চলাচলের উপযোগী করতে গত তিন দিন ধরে দিনরাত কাজ চলছে।

৫০ থেকে ৬০ জন সেনা সদস্য এবং প্রায় ২০০ শ্রমিক কাজ করছে বলে জানান তিনি।

মাশফিক বলেন, “আগামীকাল থেকে ছোটখাটো গাড়ি চলাচলের উপযোগী হবে বলে আশা করছি।”

রাঙামাটি থেকে চট্টগ্রাম পথে যাতায়াতকারীরা এখন হেঁটে নতুন ভরাট করা অংশ এবং পাশের পাহাড়ের ওপর দিয়ে ধসে যাওয়া জায়গা পার হচ্ছেন।

অটো রিকশায় চড়ে রাঙামাটি শহর থেকে সাপছড়ি শালবাগানের কিছু আগে গিয়ে নামছেন তারা। তারপর হেঁটে ধসে যাওয়া জায়গা পার হয়ে অন্য প্রান্ত থেকে অটো রিকশায় চড়ে ঘাগড়া বাজারে গিয়ে সেখান থেকে বাসে চট্টগ্রাম ও অন্য গন্তব্যে যেতে হচ্ছে।

নিম্নচাপের প্রভাবে টানা বর্ষণে গত ১৩ জুনের ভয়াবহ পাহাড় ধসে রাঙামাটিতে ১১৮ জনের মৃত্যু হয়। একইসঙ্গে ধসের কারণে চট্টগ্রামসহ বাদ বাকি পার্বত্য জেলাগুলোর সঙ্গে রাঙামাটির সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। জেলাটির সঙ্গে আশপাশের বিভিন্ন জেলার সংযুক্ত বিভিন্ন সড়কের মোট ১৪৫টি স্থানে ক্ষতি হয়। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয় শাপছড়ি শালবাগান এলাকায়।

পার্বত্য এই জেলাটির সঙ্গে শুধু কাপ্তাই হয়ে অনেক ঘুরে নৌপথে চট্টগ্রামে যাতায়াত করা সম্ভব হচ্ছে।