পাহাড় ধসে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াতে আর্থিক সহায়তার পাশাপাশি অতিরিক্ত মুনাফা না করারও আহ্বান জানান তিনি।
পাহাড় ধস ও জলাবদ্ধতার পরিপ্রেক্ষিতে পণ্য সরবরাহ ও বাজার পরিস্থিতি নিয়ে রোববার চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এক বৈঠকে বিভাগীয় কমিশনার এসব কথা বলেন।
সাগরে নিম্নচাপের প্রভাবে টানা বৃষ্টিতে সোমবার রাত থেকে বুধবার ভোর পর্যন্ত চট্টগ্রাম বিভাগের পাঁচ জেলায় বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধসে ক্ষয়ক্ষতি হয়।
এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রাঙামাটি। জেলাটির সঙ্গে চট্টগ্রাম এবং এর পাশের দুটি জেলা বান্দরবান ও খাগড়াছড়ির সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। খাবার, পানি আর জ্বালানি সঙ্কটে বড় ধরনের বিপর্যয়ের মুখে আছে পার্বত্য জেলাটি।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বিভিন্ন খাতের ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
রুহুল আমিন বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে পাহাড় ধসে রাঙামাটির সাথে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় নানা রকম সংকট সৃষ্টি হয়েছে। তবে খাদ্য সংকট সৃষ্টি না হলেও কিছু কিছু ব্যবসায়ী দাম বেশি নিচ্ছেন।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা পেতে পরিবেশের ভারসম্য বজায় রাখার বিষয়টি তুলে ধরেন তিনি।
“চট্টগ্রামে পাহাড়, সাগর ও নদীর একটা সম্বন্বয় ছিল। কিন্তু আমরা পাহাড় ও বনভূমি রক্ষা করতে পারিনি। রাঙামাটি ও বান্দরবানে আগে পাহাড় ধস না হলেও এবার পাহাড় ধস হয়েছে।”
বৈঠকে চট্টগ্রামের বিভিন্ন পাহাড়ের বাসিন্দাদের উচ্ছেদের কথা জানিয়ে জেলা প্রশাসক জিল্লুর রহমান চৌধুরী বলেন, “রেলওয়েসহ আমরা বিভিন্ন সংস্থার কাছে তাদের পাহাড় ও এতে বসবাসকারীদের তালিকা চেয়েছি।”
অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার শংকর রঞ্জন সাহা ও সৈয়দা সরোয়ার জাহান এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মাসুকুর রহমান সিকদার বৈঠকে অংশ নেন।
রাঙামাটিতে পাহাড় ধসে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১৫ জন। রাঙামাটি এখন কার্যত বিচ্ছিন্ন নগরী। চট্টগ্রাম থেকে রাঙামাটির পথে বহু জায়গায় ভেঙে পড়েছে রাস্তা, খাদের পাশের পাহাড়ের ওপর দিয়েই হেঁটে চলাচল করতে হচ্ছে এই পথের যাত্রীদের। রাঙামাটির সঙ্গে চট্টগ্রামের চলাচলের একমাত্র সচল ব্যবস্থা এখন নৌপথ।
প্রাকৃতিক এই বিপর্যয়ের সুযোগে চাল-ডাল-তেল, এমনকি আলু-পটলের ব্যবসায়ীরাও দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। জ্বালানি তেল ও গ্যাস সিলিন্ডারসহ সড়ক পথে যেসব পণ্য বাইরে থেকে আসে, সেগুলোর সঙ্কট দেখা দিয়েছে।