রাঙামাটি পাহাড় ধস: এখনো নিখোঁজ শিশুসহ ২

রাঙামাটিতে ভয়াবহ পাহাড় ধসের ঘটনার চার দিন পরও এক শিশুসহ দুইজন নিখোঁজ রয়েছে।

মিন্টু চৌধুরী, রাঙামাটি থেকেবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 June 2017, 03:24 PM
Updated : 17 June 2017, 04:07 PM

নিখোঁজরা শহরের ভেদভেদী লোকনাথ মন্দির সংলগ্ন মুসলিম পাড়ার বাসিন্দা বলে শনিবার বিকালে জেলা প্রশাসক মানজারুল মান্নান জানিয়েছেন।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “একজনের নাম জাহিদুল হাসান (৯) বলে তার মা নাসিমা আক্তার জানিয়েছে।এর বাইরে অন্য এলাকায় কোনো নিখোঁজের সংবাদ আমাদের কাছে নেই।”

ওই এলাকায় মূল সড়ক থেকে পঞ্চাশ ফুটেরও বেশি নিচে মাটি দেবে গেছে জানিয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, “লাশ দুটি হয়তো মাটির অনেক গভীরে চলে গেছে অথবা কাদা-পানির মাধ্যমে লেকে গিয়ে থাকতে পারে।”

পাহাড় ধসের ঘটনায় শনিবার পর্যন্ত পাঁচদিনে রাঙামাটিতে ১১৩টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে বলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খন্দকার মো. ইখতিয়ার উদ্দিন আরাফাত জানিয়েছেন।

নিহতদের মধ্যে রাঙামাটি সদরের ৬৬ জন, কাউখালীর ২১ জন, কাপ্তাইয়ের ১৮ জন, জুরাছড়ির ছয় জন ও বিলাইছড়ির দুই জন রয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্তদের পুর্নবাসনে টিন ও নগদ অর্থ

ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করার পরপরই তাদের পুর্নবাসনের উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জেলা প্রশাসক জানান।

তিনি বলেন, “একদিন আগেই মাত্র উদ্ধারকাজ শেষ হয়েছে। কয়টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের তালিকা এবং ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয়ের পর তাদের সহায়তা করা হবে।

“ইতিমধ্যে সরকারের তরফ থেকে পুর্নবাসনের জন্য ৫০০ বান্ডিল টিন ও নগদ ১৫ লাখ টাকা পেয়েছি। প্রতি পরিবারকে তিন বান্ডিল টিন ও নগদ নয় হাজার টাকা দেওয়া হবে। ঈদের আগেই তাদের পুর্নবাসনের সামগ্রী দিয়ে দেওয়া হবে।”

এরবাইরে আরও প্রয়োজন হলে সহায়তা দেওয়া হবে জবলেও জানান তিনি।

ঢালে বসবাস কারীরাই পাহাড় ধসে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জানিয়ে মানজারুল মান্নান বলেন, “তাদের যথাযথ পুর্নবাসন অনেক কঠিন কাজ। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহায়তা দেওয়ার পর তারা আবার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় গিয়ে বসতি গড়বে।”

চলমান বর্ষা মৌসুমে বর্ষণে আবারও তারা ঝুঁকির মুখে পড়তে পারেন।

১৭টি আশ্রয় কেন্দ্রে বর্তমানে ২৬০০ লোক রয়েছে জেলা প্রশাসন জানিয়েছে।