শুক্রবার বেলা সোয়া ৩টার দিকে নগরীর নিউ মার্কেট মোড়ে এ সংঘর্ষের সময় নয়জন হকারকে আটক করে পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকালে হকাররা নিউ মার্কেট এলাকার সড়কে বসতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। তখন হকাররা পুলিশের দিকে ঢিল ছোড়ে।
পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে পিছিয়ে গেলেও পরে তাদের অতিরিক্ত সদস্য এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
সাপ্তাহিক বন্ধের দিন বিকালে এই সংঘর্ষের সময় নিউ মার্কেট এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ঈদের কেনাকাটা করতে আসা সাধারণ মানুষের মধ্যেও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। নিউ মার্কেটসহ আশপাশের বিপণি বিতানগুলোতে অনেকেই আটকা পড়েন।
কোতোয়ালি থানার ওসি মো. জসিম উদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “হকাররা ফুটপাতের পাশাপাশি রাস্তাও দখল করে বসায় যানজট সৃষ্টি হয়। সেজন্য আমরা সড়কে বসতে নিষেধ করি।
“কিন্তু নিষেধ অমান্য করে হকাররা পুলিশ সদস্যদের ওপর চড়াও হয়। ইট-পাটকেল ছুড়ে পুলিশকে ধাওয়া দেয়।”
“পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ বেশ কয়েক রাউন্ড টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট ছোড়ে। এছাড়া সেখান থেকে নয়জনকে আটক করা হয়।”
এদিকে ফুটপাত ছেড়ে রাস্তার ওপর বসার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সম্মিলিত হকার্স ফেডারেশনের সভাপতি মিরণ হোসেন মিলন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “আমরা সড়কে বসি না। ফুটপাত ও নালার ওপর বসি। আগের সিএমপি কমিশনার আবদুল জলিল মণ্ডল যেসব স্থান চিহ্নিত করে দিয়েছেন, সেখানেই আমরা ব্যবসা করে আসছি।”
চলতি রোজার দ্বিতীয় দিন থেকে হকারদের বসতে দেওয়া হচ্ছে না অভিযোগ করে তিনি বলেন, “হকাররা তাদের মালামাল কিনে ফেলেছে। আমরা ঈদের আগে অন্তত ১০ দিন বসতে দেওয়ার অনুরোধ করে আসছি।
“পত্রিকার মাধ্যমে জেনেছি ঢাকায় সড়কে ঈদের আগে ১০ দিন হকারদের বসতে দিচ্ছে। তাই আমাদের সদস্যরাও এখানে বসতে চেয়েছে।”