মহেশখালের বাঁধ অর্ধেক অপসারণ, নেমেছে পানি

চট্টগ্রামের বহুল আলোচিত মহেশখালের বাঁধ অর্ধেক অপসারণের পর জোয়ারের পানি নেমে জলাবদ্ধতা মুক্ত হয়েছে আগ্রাবাদ-হালিশহর ও বন্দর এলাকা।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 June 2017, 02:52 PM
Updated : 14 June 2017, 02:52 PM

তবে বুধবার বিকালে জোয়ারের সময় আগ্রাবাদ এক্সেস সড়কে এবং সংলগ্ন কয়েকটি এলাকায় আবার পানি ঢুকলেও জোয়ার শেষের পর তা নামতে শুরু করেছে।

বাঁধটি মঙ্গলবার বিকালে অপসারণের কাজ শুরু করে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (সিসিসি) ও চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।

নগরীর বৃষ্টির পানি নামার অন্যতম পথ মহেশখালে বন্দর রিপাবলিক ক্লাব সংলগ্ন অংশে ২০১৫ সালের অক্টোবরে চট্টগ্রামের নগর পরিকল্পনাবিদদের বিরোধিতা উপেক্ষা করেই বাঁধটি নির্মাণ করে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।

এরপর থেকে এই পথ দিয়ে বৃষ্টির পানি কর্নফুলী নদীতে নেমে যাওয়া বাধাগ্রস্ত হওয়ায় প্রতি বর্ষায় বেশ কয়েকবার তলিয়ে আগ্রাবাদ-হালিশহর-বন্দর-গোসাইলডাঙ্গার বাসিন্দাদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। 

বাঁধ অপসারণের বিষয়ে বুধবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আগামীকালের মধ্যে পুরো কাজ শেষ হবে বলে আশা করছি।

“বাঁধের মাটির অংশের বেশিরভাগই অপসারিত হয়েছে। পাম্প হাউজ, স্টিলের পাইপ ও কিছু কাঠামো রয়ে গেছে। সেগুলো অপসারণে আগামীকাল কাজ করা হবে।”

বাঁধের মাটির ও ঢালাই করা অংশের বেশিরভাগ সরিয়ে নেয়ার পর পানি প্রবাহ স্বাভাবিকভাবে চলছে বলেও জানান মহিউদ্দিন।

বাঁধ অপসারণের দাবিতে সোচ্চার ৩৬ নম্বর গোলাইলডাঙ্গা ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হাবিবুল হক বলেন, বাঁধ অপসারণ শুরুর পর বুধবার ভোর থেকে পানি নামতে থাকে।

“দুপুরের মধ্যেই ফকিরহাট বাজার, খালপাড়, দিয়ার পাড়া, ছুরি গলি ও পূ্র্ব নিমতলার প্রায় সব এলাকা থেকে পানি নেমে গেছে।”

৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শফিউল আলম বলেন, “আমার ওয়ার্ডের পোর্ট কলোনি, ইস্ট কলোনি ও অফিসার্স কলোনি এলাকা থেকে পানি নেমে গেছে।”

এদিকে বুধবার বিকাল ৩টার দিকে জোয়ার শুরু হওয়ার পর আবারও তলিয়ে যায় আগ্রাবাদ এক্সেস সড়ক, বড়পোল মোড়, ছোটপোল, ব্যাপারি পাড়াসহ সংলগ্ন এলাকা।

তবে বৃষ্টির পানি জমে না থাকায় অন্য দিনের চেয়ে পানির উচ্চতা ছিল কম।

ব্যাপারি পাড়া স’মিল এলাকার বাসিন্দা মাহির আহমেদ মুহতাসিন বলেন, বাঁধ কাটার পর বাসায় সোমবার থেকে জমে থাকা পানি নামতে শুরু করে।

“দুপুরের মধ্যে পানি বেশিরভাগই নেমে যায়। তবে জোয়ারের সময় বিকালে আবার কিছু পানি ঢুকেছে।”

আগ্রাবাদ এক্সেস সড়কের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী মেজবাহ উদ্দিন বলেন, বিকালের দিকে সড়কে জোয়ারের পানি জমতে শুরু করে। তবে সন্ধ্যার দিকে আবারও তা কমতে থাকে।