মঙ্গলবার দুপুরে লালখান বাজার মতিঝর্ণা, এ কে খান, বায়েজিদ বোস্তামি ও মুরাদপুর এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয় বলে সহকারী কমিশনার ইশতিয়াক আহমেদ জানিয়েছেন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, অতিবৃষ্টির কারণে চট্টগ্রামজুড়ে পাহাড় ধসের আশংকা বেড়ে যাওয়ায় জেলা প্রশাসকের নির্দেশে এ অভিযান শুরু হয়েছে।
লালখান বাজার ও এ কে খান এলাকায় অভিযানের নেতৃত্বে রয়েছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদুর রহমান।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “লালখান বাজার মতিঝর্ণা পাহাড়ের তালিমুল কোরআন মাদ্রাসা এলাকা থেকে ঝূঁকিপূণ বসতি উচ্ছেদে অভিযান শুরু করেছি।”
নগরীরর বায়েজিদ থানা ও মুরাদপুর এলাকার অভিযানে নেতৃত্ব দিচ্ছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাবিবুল হাসান।
সোমবার রাতে ও মঙ্গলবার ভোরে বৃষ্টির পানিতে মাটি সরে গিয়ে বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধসে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে; বেশ কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।
বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত রাঙামাটিতে ১১ জন এবং বান্দরবানে আট জন এবং চট্টগ্রামে আট জনের লাশ উদ্ধারের খবর নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।
তবে চট্টগ্রামের চন্দনাইশ ও রাঙ্গুনিয়া উপজেলার দুটি দুর্গম এলাকায় পাহড়ধসের ঘটনা ঘটায় সেখানে উদ্ধারকর্মীদের পৌঁছাতে দেরি হচ্ছে।
বেলা ১২টা পর্যন্ত শেষ ২৪ ঘণ্টায় পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসে ১৩১ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
এর আগে সকাল নয়টা পর্যন্ত শেষ ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল ১৫৫ দশমিক ১ মিলিমিটার।