বর্ষণ-পাহাড়ি ঢলে চট্টগ্রামের সঙ্গে ৩ জেলার সড়ক যোগাযোগ বন্ধ

ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে চট্টগ্রামের সঙ্গে দুই পার্বত্য জেলা রাঙামাটি ও বান্দরবানসহ কক্সবাজারের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 June 2017, 06:43 AM
Updated : 13 June 2017, 07:18 AM

টানা বৃষ্টিতে সড়কের বিভিন্ন জায়গায় পানি উঠায় মঙ্গলবার সকাল থেকে চট্টগ্রামের সঙ্গে বান্দরবান, রাঙামাটি ও কক্সবাজারের যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায় বলে জানায় হাইওয়ে পুলিশ।

হাইওয়ে পুলিশ রাউজান থানার ওসি আহসান হাবিব বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, রাউজান দাইয়ার ঘাটা থেকে চড়া বটতল পর্যন্ত প্রায় আড়াই কিলোমিটার এলাকার বিভিন্ন স্থানে পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টির পানিতে সড়ক তলিয়ে গেছে।

“এতে চট্টগ্রামের সাথে রাঙামাটির সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।”

রোববার সন্ধ্যা থেকে চট্টগ্রামে শুরু হয় বৃষ্টিপাত। সোমবার সারাদিনের বৃষ্টির পর রাতে প্রবল বর্ষণ হয়।

চট্টগ্রাম আবহাওয়া অফিস সোমবার বেলা ১২টা থেকে মঙ্গলবার বেলা ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ১৩১ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে।

হাইওয়ে পুলিশ দোহাজারি থানার ওসি মিজানুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, চন্দনাইশের কসাই পাড়া থেকে দেওয়ান হাট পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার এলাকায় সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় চট্টগ্রামের সাথে বান্দরবান ও কক্সবাজারের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।

এদিকে বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ সড়কে পাহাড় ধস ও পাহাড়ি ঢলের কারণে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

সোমবার দিনভর বৃষ্টির পর রাতের টানা বর্ষণে তলিয়ে যায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের এই অংশ

ফায়ার সর্ভিস চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক পূর্ণ চন্দ্র মুৎসুদ্দী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, রাঙ্গুনিয়ার উপজেলার রানীর হাট মঘাইছড়ি এলাকায় পাহাড় ধসের ঘটনায় যাওয়া ফায়ার সার্ভিসের বিভিন্ন ইউনিটের গাড়ি বিভিন্ন স্থানে আটকা পড়েছে।

তিনি জানান, পাহাড়ি ঢলের কারণে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় উদ্ধারের জন্য চট্টগ্রাম থেকে রওনা হওয়া দুইটি ইউনিটের সদস্যরা রাঙ্গুনিয়ার ইসলামপুর এলাকায় আটকা পড়েছে।

এদিকে কাপ্তাই ইউনিটের সদস্যরা রড় দমদমা এলাকায় আটকে পড়েছে বলে জানান ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা পূর্ণচন্দ্র।

তিনি বলেন, বড়দমাদমা এলাকায় পাহাড়ি ধস ও ঢলে তারা কোনো দিকে এগুতে না পারায় হাটহাজরি ফায়ার স্টেশনের একটি দল তাদের উদ্ধারে গেছেন।