এর আগে মে মাসের শেষের দিকে মোরার প্রভাবে বৃষ্টিপাতসহ চলতি বর্ষায় বেশ কয়েকবার জলাবদ্ধতার ভোগান্তির মধ্য দিয়ে গিয়েছেন চট্টগ্রাম নগরীর বাসিন্দারা। বার বার জলাবদ্ধতা হওয়ায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন পানি জমে যাওয়া এলাকার লোকজন।
তারা বলছেন, বৃষ্টিতে বার বার জলাবদ্ধতা হলেও এ থেকে উত্তরণের কোনো উদ্যোগ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে নেওয়া হচ্ছে না।
সোমবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ১৫১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস। মৌসুমি নিম্নচাপের কারণে সমুদ্রবন্দরগুলোতে ইতোমধ্যে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
নিম্নচাপের কারণে চট্টগ্রামসহ আশেপাশের এলাকার এ বৃষ্টিপাত জানিয়ে পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ শেখ ফরিদ আহমেদ বলেন, পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় বাতাসের পাশাপাশি বৃষ্টিপাতও অব্যাহত থাকবে।
জিইসি মোড়, ২ নম্বর গেইট এলাকার পানি সকালে পানি অনেকটা নামলেও আগ্রাবাদ, বাদুরতলা, চকবাজারসহ নিচু এলাকায় পানি থেকে যায়। পানিতে বিভিন্ন সড়ক, গলিসহ পাড়া মহল্লার বিভিন্ন ভবনের নিচতলার বাসা ডুবে যায়।
আগ্রাবাদ এক্সেস রোড এলাকার বাসিন্দা গোলাম কিবরিয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বৃষ্টির পানিতে নিচতলা ডুবে গেছে। কয়েকদিন আগেও বৃষ্টিতে পানিবন্দি ছিলাম। আমাদের দুর্ভোগের শেষ নেই।”
একই এলাকার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কিম এন্টারপ্রাইজের সহকারী ব্যবস্থাপক মো. কিরন জানান, প্রতিষ্ঠানের ভেতরে পানি ঢুকে গেছে। দোকান খোলা যাচ্ছে না।
পানি জমে ভোগান্তিতে পড়া আগ্রাবাদ এক্সেস রোড, বেপারি পাড়া, আগ্রাবাদ সিডিএ এলাকার বাসিন্দারা বলছেন, তাদের এলাকায় মহেশ খালের ওপর স্লুইস গেইট নির্মাণ করায় অতি বৃষ্টিতে পানি জমলে তা সরে না।
স্থানীয় আসহাব উদ্দিন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “এসব এলাকায় সামান্য বৃষ্টিতে পানি ওঠা এবং কয়েকদিন ধরে জমে থাকা নিয়মে পরিণত হয়েছে। এসব নিয়ে আপনারা লিখে, টেলিভিশনে লিখে কী করবেন? যাদের কাজ তারা তো কিছুই করছে না।”