জামিনে বেরিয়ে ফের অপরাধে জড়িয়ে গ্রেপ্তার

চট্টগ্রাম ছিনতাইকারী চক্রের এক সদস্য গ্রেপ্তার হয়েছেন; যিনি জামিনে বেরিয়ে ফের অপরাধে জড়িয়ে পড়েন বলে পুলিশ জানিয়েছে।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 June 2017, 11:42 AM
Updated : 11 June 2017, 11:42 AM

রোববার বায়েজিদ বোস্তামী থানার হাজীর পুল থেকে পারভেজ ওরফে বিপ্লব (২৫) নামে ওই যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

২০০৮ সালে ডবলমুরিং থানা এলাকায় এক ব্যক্তিকে খুন করতে ‘অপেক্ষা’ করার সময় পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন বিপ্লব। পরে বিভিন্ন সময়ে ডাকাতি, ছিনতাইসহ নানা অপরাধে গ্রেপ্তার হয়ে প্রায় ছয় বছর কারাগারে ছিলেন।

গত ৫ জুন বায়েজিদ থানা এলাকায় একটি পোশাক কারখানার কর্মকর্তারা কাছ থেকে দুই লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় পুনরায় বিপ্লবকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন বায়েজিদ বোস্তামী থানার ওসি মোহাম্মদ মহসিন।

গত ৫ জুন নগরীর অক্সিজেন মোড়ের সাউথইস্ট ব্যাংক থেকে প্রতিষ্ঠানের এক লাখ ৯৯ হাজার টাকা তুলে রিকশায় ফেরার পথে ছিনতাইকারীর কবলে পড়েন কোয়ালিটি ফ্যাশন নামের পোশাক কারখানার কর্মকর্তা রুবেল কুমার দে।

টি বোর্ডের কাছে স্টারশিপ গলিতে রিকশা ঢোকা মাত্র ছিনতাইকারীরা ছুরি ঠেকিয়ে তার কাছ থেকে টাকা ছিনিয়ে নেয়। এসময় রুবেল চিৎকার শুরু করলে স্থানীয় লোকজন জনি নন্দী নামে এক যুবককে ধরে পুলিশে দেয়।

পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী মো. রাজু (২২) নামে এক যুবককে ফয়স’ লেক এলাকা থেকে শনিবার গ্রেপ্তার করে ও এক লাখ ৫৪ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার করে।

ওসি মহসিন জানান, আদালতে জনি স্বীকারোক্তিতে বিপ্লবের দেওয়া তথ্য ও নির্দেশনায় ছিনতাই করেছে বলে জানায়। ওই তথ্যের ওপর ভিত্তি করে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ছিনতাই হওয়া বাকি টাকা উদ্ধার ও বিপ্লবকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়েছে।

ওসি মহসিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বিপ্লব নগরীর চকবাজার এলাকার ‘কস্তুরি’ হোটেলের কর্মচারী ছিলেন। ২০০৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে হোটেল মালিক ও নগর পুলিশের এক সময়ের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী তসবি জাহাঙ্গীরের নির্দেশে গুন্নু মিয়া নামে এক ব্যক্তিকে খুন করতে যায় বিপ্লব।

ডবলমুরিং থানা এলাকায় অপেক্ষা করার সময় কোতোয়ালি থানা পুলিশের একটি দল খবর পেয়ে বিপ্লবকে অস্ত্র ও হাতবোমাসহ গ্রেপ্তার করেছিল।

পুলিশ কর্মকর্তা মহসিন বলেন, ওই সময় কারাগার থেকে জামিনে বের হয়ে আসার পর বিভিন্ন অপরাধ কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ে ও বিভিন্ন সময়ে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়ে আরও কয়েকবার কারাভোগ করে।

কারাগারে থাকাকালীন বিপ্লব বিভিন্ন অপরাধীদের সঙ্গে পরিচিত হয় এবং পরে কারাগার থেকে বের হয়ে তাদের সহায়তায় নগরীতে সোনা চোরাচালানসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজ করতেন বলে পুলিশ জানায়।

বছর খানেক আগেও একটি ডাকাতি মামলায় বিপ্লব গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে গিয়েছিলেন।