বুধবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে এই অভিযান শুরুর সিদ্ধান্ত হয় বলে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম জানান।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “পাহাড়ে অবৈধ স্থাপনা ও বসতি স্থাপনকারীদের উচ্ছেদে দুটি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করবেন দুই জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। তারা মতিঝর্ণা পাহাড়ে এবং বায়েজিদের পাহাড়ি এলাকায় অভিযান চালাবেন।”
মতিঝর্ণা এলাকায় উচ্ছেদের দায়িত্বে থাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আছিয়া খাতুন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আমরা কিছুক্ষণের মধ্যে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করব।
চট্টগ্রাম নগরী ও জেলার বিভিন্ন পাহাড়ে এক লাখের বেশি মানুষ অবৈধভাবে বসবাস করছে বলে গণমাধ্যমের খবর। বর্ষা মৌসুমে পাহাড় ধসে প্রাণহানির ঘটনাও ঘটে আসছে নিয়মিত।
ঘূর্ণিঝড় মোরার প্রভাবে বুধবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ২২৫ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টি হওয়ার পর পাহাড় ধসে নতুন করে প্রাণহানী এড়াতে জেলা প্রশাসনের অভিযানের এই সিদ্ধান্ত।
সোমবার রাতে ঘূর্ণিঝড় মোরার কারণে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারির পরপরই পাহাড়ে অবৈধভাবে বসবাসকারীদের সরে যেতে মাইকিং করা হয়েছিল জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে।