মোরা ইতোমধ্যে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে; চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার উপকূলে ১০ নম্বর মহাবিপদ সঙ্কেত দেখাতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে ঝড়ের আঘাত হানার আভাস মেলার পর সোমবার সকালেই চট্টগ্রামে ‘জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি’ সভায় বসে।
চট্টগ্রামের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়স্থলে সরিয়ে নিতে ৪৭৯টি বন্যা ও ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র ইতোমধ্যে উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে বলে প্রশাসনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতির পদক্ষেপ হিসেবে ৬ হাজার ৬৬০ জন স্বেচ্ছাসেবী উপকূলীয় উপজেলাগুলোর জন্য তৈরি রাখা হয়েছে বলেও জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
এদিকে দুপুরের পর থেকে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতের সব অস্থায়ী স্থাপনা সরিয়ে নিতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং চলছে।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের আলোকচিত্র সাংবাদিক সুমন বাবু জানান, দুপুরে মাইকিংয়ের পর দোকানিরা তাদের সব স্থাপনা সরিয়ে নিতে শুরু করে।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে। ০৩১-৬১১৫৪৫ নম্বরে ফোন করে যোগাযোগ করতে পারবেন সবাই।
প্রত্যেক উপজেলায় সার্বক্ষণিক কন্ট্রোলরুম খোলার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক জিল্লুর রহমান চৌধুরী।
ঝড়ে দুর্গতদের জন্য সরকারিভাবে নগদ ছয় লাখ ৭২ হাজার টাকা ও ৩৪২ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
এদিকে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরকে পানি বিশুদ্ধ করার ট্যাবলেট মজুদের পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী নলকূপ ঠিক করতে শ্রমিকদের প্রস্তত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঝড়ের কারণে চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ থেকে পণ্য ওঠা-নামা বন্ধ রয়েছে।