সোমবার বেলা আড়াইটার দিকে বারৈয়ারহাট-খাগড়াছড়ি সড়কের নয়াটিলা মাজারসংলগ্ন এলাকায় এ দুর্ঘটনায় অন্তত আরও ১৪ জন আহত হয়েছে বলে জানান জোরারগঞ্জ থানার ওসি জাহিদুল কবির।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে বাসটি ১০০ ফুটের মতো খাদের নিচে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই পাঁচজন মারা যায়।
পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আরেকজনকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
নিহতরা হলেন- বিবি রহিমা (৪০), মো. ইসমাইল (৪৫), আবু তালেব খান (৫০), অলি আশরাফ (৪০), নুরুল হক (৩০) এবং ৬০ বছর বয়সী একজন বৃদ্ধা।
জোরারগঞ্জ থানার এসআই বিপুল দেবনাথ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, খাগড়াছড়িমুখী আলিফ সুপার পরিবহনের বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে পাঁচজনের লাশ উদ্ধার করা হয়।
“পরে চট্টগ্রাম মেডিকেলে নেয়ার পথে আরও একজন মারা যান। গাড়িটিতে মোট ৩২ জন যাত্রী ছিল।”
চট্টগ্রাম মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির নায়েক আলাউদ্দিন জানান, একজন যুবক ও একজন বৃদ্ধাকে আনা হলে চিকিৎসক বৃদ্ধাকে মৃত ঘোষণা করেন।
“ওই যুবকের অবস্থাও গুরুতর। এদের কারোর নাম-পরিচয় জানা যায়নি।”
ফায়ার সার্ভিসের মিরসরাই স্টেশনের লিডার মো. শরীফ বলেন, বাসটি ১০০ ফুটেরও বেশি গভীর খাদে পড়ে যাওয়ায় দড়ি বেঁধে সেখানে নামতে হয়।
“আমরা দুটি মৃতদেহ উদ্ধার করি। এর আগেই স্থানীয়রা কয়েকটি মৃতদেহ উদ্ধার করে। বাসটি সেই খাদ থেকে তোলা সম্ভব হয়নি।”