শুক্রবার বিকালে নগরীর চেরাগী পাহাড় মোড়ে ভাস্কর্য সরানোর প্রতিবাদে আয়োজিত এক সমাবেশে থেকে ভাস্কর্যটি পুনঃস্থাপনের দাবিও জানান তারা।
যুব ইউনিয়ন চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি রিপায়ন বড়ুয়া বলেন, ক্ষমতায় থাকার জন্য আর ভোটের জন্য ধর্মান্ধ অপশক্তি হেফাজতে ইসলামের সঙ্গে আপোষ করেছে সরকার।
“একের পর এক তাদের দাবি মেনে নিয়ে দেশকে সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রে পরিণত করার অপচেষ্টা চলছে। হেফাজতে ইসলামকে তুষ্ট করতে মরিয়া সরকার তাদের প্রেসক্রিপশনেই সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে ভাস্কর্য অপসারণ করেছে।”
রিপায়ন বড়ুয়া বলেন, এই আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেই পাঠ্যপুস্তক থেকে প্রগতিশীল-অসাম্প্রদায়িক রচনা বাদ দিয়েছে হেফাজতের দাবিতে, যা অন্য কোনো সরকার করার সাহসও করেনি।
“এই দেশ কি হেফাজতের প্রেসক্রিপশনে চলবে? সময় এসেছে সম্মিলিত প্রতিরোধের।”
সমাবেশ থেকে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে ভাস্কর্যটি পুনঃস্থাপনের দাবিও জানানো হয়।
সমাবেশের আগে নগরীর আন্দরকিল্লা মোড় থেকে শুরু হওয়া একটি মিছিল চেরাগী পাহাড় মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন যুব ইউনিয়ন চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল শিকদার, সাংগঠনিক সম্পাদক জাবেদ চৌধুরী, সাবেক ছাত্রনেতা রাশিদুল সামির, ছাত্র ইউনিয়ন চট্টগ্রামের আহ্বায়ক গোলাম সরোয়ার এবং এ্যানি সেনসহ অন্যরা।
এদিকে ভাস্কর্য অপসারণের প্রতিবাদে বিকালে চেরাগী পাহাড় মোড়ে আলাদা এক সমাবেশ করে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি চট্টগ্রাম জেলা।
সমাবেশে সাংস্কৃতিক সংগঠক চন্দন দাশ বলেন, যারা ক্ষমতায় থাকেন তারা ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়। আর যারা ক্ষমতার বাইরে তারা ক্ষমতায় যেতে জঙ্গিদের সাথে আঁতাত করে।
শ্রমিক নেতা রাহাত উল্লাহ জাহিদ বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ গড়ে তুলতে দেশের অসাম্প্রদায়িক, প্রগতিকামী ও দেশপ্রেমিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
কমিউনিস্ট পার্টির চট্টগ্রাম জেলার সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অমৃত বড়ুয়ার সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সদস্য রবিউল হোসেন ও উদীচী চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক শীলা দাশগুপুপ্তা।
সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল নগরীর আন্দরকিল্লা মোড় হয়ে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে গিয়ে শেষ হয়।