ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে লোহাগাড়ার ওসিসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা

চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার আবুনগর এলাকায় এক গৃহিণীকে ধষর্ণ চেষ্টার অভিযোগে ওসিসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 May 2017, 03:25 PM
Updated : 25 May 2017, 03:25 PM

বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক রোকসানা পারভীনের আদালতে মামলাটি করেন মায়মুনা বেগম।

বাদীর আইনজীবী আজিজুল কবির জানিয়েছেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ (৪)(খ) ধারায় ধষর্ণ চেষ্টার অভিযোগে মামলাটি করা হয়েছে।

“আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে এ বিষয়ে বিচারিক তদন্ত করতে মুখ্য বিচারিক হাকিমকে নির্দেশ দিয়েছেন।”

মামলার পরবর্তী ধার্য দিন ২৬ জুনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে বলে জানান তিনি।

মামলার আসামিরা হলেন- লোহাগাড়া থানার ওসি শাহজাহান, এসআই সোলাইমান পাটোয়ারি, এসআই ফখরুল ইসলাম এবং স্থানীয় বাসিন্দা জসিম উদ্দিন।

বাদীর দেবর মো. হারুন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “গত ১২ মে জুমার নামাজের সময় আমরা মসজিদে ছিলাম। এসময় সাদা পোশাকে এসআই ফখরুল ইসলামের নেতৃত্বে কয়েকজন পুলিশ আমাদের বাড়িতে যায়।

“তখন বাড়িতে থাকা আমার ভাবি মায়মুনা বেগম সাদা পোশাকে আসা লোকরা পুলিশ কি না জানতে চাইলে তাকে মারধর করা হয়। এসময় ভাবিকে পুলিশ সদস্যরা ধর্ষণের চেষ্টা করে।”

হারুন বলেন, “নামাজ শেষে বাড়ি ফিরে ভাবিকে মারধরের কারণ জানতে চাইলে তারা আমাকে ও আমার ভাই আনোয়ারকে মারধর করে। শেষে আনোয়ারকে থানায় নিয়ে যায়।”

মারধরের ঘটনায় গত ১৮ মে আদালতে নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু নিবারণ আইনে লোহাগাড়ার ওসিসহ সাত পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা করেন কলেজছাত্র আনোয়ার।

ধষর্ণের অভিযোগ বিষয়ে ওসি মো. শাহজাহান বলেন, “অভিযোগ যে কেউ করতে পারেন। পুলিশের দলটি ওয়ারেন্টের আসামি ধরতে গিয়েছিল।”

ঘটনার পর ওসি বলেছিলেন, আনোয়ারের ভাই দেলোয়ার হোসেন শিবিরের ক্যাডার। তার বিরুদ্ধে দুটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আছে। দেলোয়ারকে ধরতে ওই বাড়িতে গেলে আনোয়ারের পরিবারের সদস্যরা মিলে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। তারা আসামি দেলোয়ারকে ছিনিয়ে নেয়।

ওই পরিবারের হামলায় এসঅঅই ফখরুল আহতও হয়েছিলেন বলে ওসি দাবি করেছিলেন।