এ উদ্যোগগুলো সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি ও জনসম্পৃক্ততা বাড়াতে গণমাধ্যমের সহযোগিতাও চেয়েছেন তিনি।
বুধবার চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে গণমাধ্যমের সঙ্গে এক মতবিনিময়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কামরুন নাহার বলেন, “এগুলো প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত দর্শন। এ উদ্যোগগুলো মানুষের দোরগোড়ায় নিয়ে যেতে গণমাধ্যমের সহযোগিতার বিকল্প নেই।”
এ দশ উদ্যোগ হল- একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প, আশ্রয়ণ প্রকল্প, ডিজিটাল বাংলাদেশ, শিক্ষা সহায়তা কর্মসূচি, নারীর ক্ষমতায়ন, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ, কমিউনিটি ক্লিনিক ও মানসিক স্বাস্থ্য, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি, বিনিয়োগ বিকাশ ও পরিবেশ সুরক্ষা।
এ উদ্যোগগুলোকে ‘শেখ হাসিনা ব্র্যান্ডিং’ নামে প্রচার করার জন্য তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের অনুরোধ জানান।
তিনি বলেন, “এ দশ বিশেষ উদ্যোগ শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত দর্শনেই বাস্তবায়িত হচ্ছে। এগুলোর সফল প্রয়োগের মাধ্যমে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার যে লক্ষ্য সরকার নির্ধারণ করেছে সেটা নির্দিষ্ট সময়ে বাস্তবায়ন সম্ভব বলে আমরা বিশ্বাস করি।”
একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের বিষয়ে তিনি বলেন, বাড়ির ভিটায় অনেক খালি জায়গা থাকে, সেখানে শাক-সবজির চাষ হতে পারে। গরু বা হাঁস-মুরগি পালনও হতে পারে, ডোবাতে করা যায় মাছ চাষ।
“একটি পরিবারের লবণ ও তেল ছাড়া প্রয়োজনীয় সবকিছু যোগাড় হয়ে যাবে তার ভিটা থেকে। এভাবে স্বাবলম্বী হয়ে উঠবে প্রতিটি পরিবার। এছাড়াও ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ, নারীর ক্ষমতায়ন, গৃহহীনদের জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্প, কমিউনিটি ক্লিনিক, গ্রামের অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীকে সহায়তা- এসব যথাযথভাবে করা গেলে মধ্যম আয়ের দেশের পরিণত হওয়া সম্ভব।”
শেখ হাসিনার বিশেষ দশ উদ্যোগের সুফল গ্রামের সাধারণ মানুষগুলো পাচ্ছে কীনা সেজন্য ওয়াচডগ হিসেবে গণমাধ্যমকে ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী।
তিনি বলেন, “অতি প্রশংসা করলে মিডিয়া আর মিডিয়া থাকে না। ন্যায্য বিষয়টি তুলে ধরাই মিডিয়ার কাজ। আশা করি মিডিয়া সে ভূমিকা পালন করবে।”
মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত প্রধান তথ্য কর্মকর্তা ফজলে রাব্বি, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি রিয়ার হায়দার চৌধুরী, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শুকলাল দাশ ও চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন মো. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী।