শনিবার বিকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে তিনি বলেন, “কোনো তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতা ছাড়াই তিনি শান্তি চুক্তি করেছিলেন। সেটা জাতিসংঘসহ সারাবিশ্বে জেনেছিল। প্রশংসিত হয়েছিল।
“শুধুমাত্র হিলারির বাধার কারণে শেখ হাসিনা শান্তিতে নোবেল পাননি। বারাক ওবামা যে নোবেল পেয়েছেন, তার কোনো ফিলসফি নেই।”
১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) পার্বত্যস শান্তি চুক্তি সই হয়, যার আওতায় শান্তিবাহিনীর অস্ত্র সমর্পণের ফলে পাহাড়ে রক্তাক্ত সংঘাতের অবসান ঘটে।
ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, “শান্তি আনতে হলে জনগণের ক্ষমতায়ন করতে হবে। লিবিয়া, সৌদি আরব, কুয়েত, কাতার সেখানে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। সেখানে কি জনগণের ক্ষমতায়ন হয়েছে?
“জনগণ কি চায়- তা যদি কেউ ভাবেন তিনি রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা। তিনি বাংলাদেশের হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা।”
সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, “অভিজ্ঞতা বলে- যত বেশি ভুল হবে, ধাক্কা খাবে, বিপদে পড়বে তত সত্য জানবে। সত্যের অন্বেষণে যে যত দৃঢ় তার বিপদ তত বেশি। সাংবাদিকদের বিপদও তাই বেশি।”
তিনি বলেন, “আমি ৭৩ এ রিপোর্টার ছিলাম, ৮৩ তে শিল্প উদ্যোক্তা। ২০০৩ সালে বিএনপি আমাকে ঋণ খেলাপি ঘোষণা করে। তখন দেখলাম কেউ কারো না, একমাত্র স্ত্রী ছাড়া। তাকে চিনলাম যখন পাশে কেউ নাই।
“ক্ষমতার মোহ আমাকে কখনই আকৃষ্ট করে না। ক্ষমতা না দেখানোই- আমার ক্ষমতা। এমপি চিকেন খাবেন, আর কর্মীরা হাড্ডিও পাবে না। এমপিদের দরজায় আমি যাই না। কথায় কথায় ফার্স্ট হওয়ার দরকার আমার নেই।”
মত বিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি কলিম সরওয়ার ও সাধারণ সম্পাদক শুকলাল দাশ।
উপস্থিত ছিলেন প্রেস ক্লাবের সহ-সভাপতি মনজুর কাদের মনজুর, অর্থ সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিক, চট্টগ্রাম নগর যুবলীগের আহ্বায়ক মহিউদ্দিন বাচ্চু, যুগ্ম আহ্বায়ক ফরিদ মাহমুদ ও দেলোয়ার হোসেন খোকা, যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির উপ-অর্থ সম্পাদক হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর প্রমুখ।