কলেজছাত্রকে নির্যাতন: লোহাগাড়ার ৭ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা

চট্টগ্রাম কলেজের এক ছাত্রকে নির্যাতনের অভিযোগে লোহাগাড়া থানার ওসিসহ সাত পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 May 2017, 05:08 PM
Updated : 18 May 2017, 05:08 PM

বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম শিপলু কুমার দের আদালতে মামলাটি করেন মো. আনোয়ার হোসেন (২০) নামের ওই ছাত্র।

আনোয়ার লোহাগাড়া উপজেলার আবু নগর গ্রামের মৃত সিদ্দিক আহমদের ছেলে। তিনি চট্টগ্রাম সরকারি কলেজের অর্থনীতি বিভাগের সম্মান প্রথম বর্ষের ছাত্র।

যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয় তারা হলেন- লোহাগাড়া থানার ওসি মো. শাহজাহান, এসআই ফখরুল ইসলাম, হেলাল খান, মোরশেদ আলম, নাছির উদ্দিন রাসেল, সোলাইমান পাটোয়ারী ও  মো. রুবেল।

বাদীর আইনজীবী উপল কান্তি নাথ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আদালত অভিযোগটি গ্রহণ করে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আনোয়ারের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে প্রতিবেদন জমা দিতে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জনকে নির্দেশ দিয়েছেন।

প্রতিবেদনে আঘাতের চিহ্ন এবং আঘাতের সম্ভাব্য সময় উল্লেখ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

অভিযোগকারী আনোয়ারের বড় ভাই মো. হারুন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গত ১২ মে জুমার নামাজের সময় সাদা পোশাকে এসআই ফখরুল ইসলামের নেতৃত্বে কয়েকজন পুলিশ সদস্য তাদের বাড়িতে গিয়েছিলেন।

“তখন বাড়িতে থাকা আমার ভাবি মায়মুনা বেগম সাদা পোশাকে আসা লোকরা পুলিশ কি না জানতে চাইলে তাকে মারধর করা হয়। নামাজ শেষে বাড়ি ফিরে ভাবিকে মারধরের কারণ জানতে চাইলে তারা আমাকে ও আনোয়ারকে মারধর করে। শেষে আনোয়ারকে থানায় নিয়ে যায়।”

হারুন বলেন, “থানায় আনোয়ারকে ওইদিন বিকাল ৪টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত মারধর করে।”

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে লোহাগাড়া থানার ওসি মো. শাহজাহান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আনোয়ারের ভাই দেলোয়ার হোসেন শিবিরের ‘ক্যাডার’। তার বিরুদ্ধে দুটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আছে।

“দেলোয়ারকে ধরতে ওই বাড়িতে গেলে আনোয়ারের পরিবারের সদস্যরা মিলে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। তারা আসামি দেলোয়ারকে ছিনিয়ে নেয়। তাদের হামলায় এসআই ফখরুল ইসলাম আহত হন।”

এ ঘটনায় ১২ মে লোহাগাড়া থানায় পুলিশের উপর আক্রমণ এবং আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগে একটি মামলা করা হয়। ওই মামলায় আনোয়ারকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ।

ওসি শাহজাহান বলেন, “আনোয়ারকে মারধরের অভিযোগ মিথ্যা। পরদিন তাকে আদালতে উপস্থাপন করা হয় এবং আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়।

“তার শরীরে আঘাত থাকলে আদালত ও কারাগার চিকিৎসা সনদ ছাড়া তাকে গ্রহণ করত না।”