ভারত বিরোধিতার ‘ভাঙা রেকর্ড’ চলবে না: মোশাররফ

ভারত বিরোধিতার কথা বলে ভোট চাইলেও তাতে মানুষের সাড়া এখন আর মিলবে না বলে মন্তব্য করেছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 April 2017, 08:42 AM
Updated : 29 April 2017, 12:23 PM

শনিবার চট্টগ্রাম নগরীর থিয়েটার ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে ভারতীয় সহকারী-হাইকমিশন, চট্টগ্রাম আয়োজিত ‘মুক্তিযোদ্ধা স্কলারশিপ স্কিম’র আওতায় মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোশাররফ বলেন, “সরকার এবং আওয়ামী লীগ, আমরা কোনোদিনও ভারতবিরোধী নই। আমাদের যারা সাহায্য করেছে, সহযোগিতা করেছে- তাদের বিরুদ্ধে আমরা কোনোদিনও যেতে পারি না।

“কিছু কিছু আছে যারা সবসময় এটার বিরোধিতা করে এবং এটার অ্যাডভান্টেজ নেয়। কখন নেয়? ভোটের সময়। এটা কিন্তু আগে চলেছে, এখন এটা পুরনো রেকর্ড। এটা আর ভাঙিয়ে চলতে পারবে না।”

আওয়ামী লীগ সরকার ভারতের স্বার্থ রক্ষা করে চলছে বলে বিএনপির অভিযোগের পাল্টায় একথা বলেন এই মন্ত্রী।

তিনি বলেন, “মানুষ এখন সজাগ হয়ে গেছে। এ মিথ্যা অপবাদ দিয়ে মানুষকে আর ভোলাতে পারবে না। আমাদের সাথে ভারতের বন্ধুত্ব আছে-থাকবে, এটা চিরজীবন থাকবে।”

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে ভারতের হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে তার দেশের সম্পর্ক বর্তমানে নতুন উচ্চতায় উঠেছে।

মুক্তিযোদ্ধাদের বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্কের সেতুবন্ধন বলে অভিহিত করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক সফরের সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য তিনটি নতুন কল্যাণমূলক পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন বলে জানান শ্রিংলা। 

তিনি বলেন, সব মুক্তিযোদ্ধারা পাঁচ বছরের মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা পাবেন। প্রত্যেক বছর একশজন মুক্তিযোদ্ধাকে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হবে।

 “নতুন স্কিমের আওতায় আরও ১০ হাজার ছাত্রছাত্রীকে ৩৫ কোটি রুপি মূল্যমানের বৃত্তি প্রদান করা হবে। নতুন স্কিমের আওতায় উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের ছাত্রছাত্রীরা একবারে ২০ হাজার এবং স্নাতক পর্যায়ে যারা তারা পাবে ৫০ হাজার টাকা।”

অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষক ডা. মাহফুজুর রহমান।

সমাপনী বক্তব্যে চট্টগ্রামে নিযুক্ত ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার সোমনাথ হালদার বলেন, “বাংলাদেশের সাথে আমাদের বন্ধুত্ব রক্তের অক্ষরে লেখা। নানা বাধা কাটিয়ে তা এখনও অটুট আছে।”

ভারত সরকার ২০০৬ সালে মুক্তিযোদ্ধার উত্তারাধিকারদের জন্য এই শিক্ষাবৃত্তি প্রদান শুরু করে।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এখন পর্যন্ত ১০ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থীকে ১৫ কোটি টাকা মূল্যের বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে।

এ বছর স্নাতক পর্যায়ের মোট ছয়শ জন শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান করা হবে। অনুষ্ঠানে চট্টগ্রামের ৪৮ জনকে এবার বৃত্তি প্রদান করা হয়।