বৃহস্পতিবার দুপুরে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বন্দরের ১৩০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কারশেডে আয়োজিত পোর্ট এক্সপো-২০১৭ উদ্বোধনের সময় তিনি এ আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “চট্টগ্রাম বন্দরের সুনাম যাতে অক্ষুন্ন থাকে, সবসময় নজর রাখতে হবে। দক্ষ, নিরাপদ ও পরিবেশবান্ধব বন্দর অত্যন্ত জরুরি। এজন্য সবাইকে মিলে কাজ করে যেতে হবে।
“বন্দরের আধুনিকায়নে আমরা কাজ করছি। এখন ডিজিটাল বাংলাদেশ, ডিজিটাল কার্যক্রম পরিচালনা করে বন্দরের সক্ষমতা আরও বৃদ্ধির জন্য কাজ বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি।”
পোর্ট এক্সপোর মাধ্যমে বন্দরের সুনাম বৃদ্ধি পাবে আশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে আঞ্চলিক যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, তারা এই বন্দর ব্যবহার করে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে আরও উন্নত হতে পারে।
বঙ্গভবনে অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সময় ক্ষতিগ্রস্ত বন্দর শ্রমিক-কর্মচারীদের স্বজনদের হাতে অনুদান তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী।
মুক্তিযুদ্ধে বন্দরের শ্রমিকদের অবদানের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বিশেষ করে সোয়াতে করে যখন অস্ত্র আনে তখন শ্রমিকরা বাধা দেয়। তাদের হাতে প্রায় ৩০ জন শ্রমিক নিহত হয়েছিল।”
জিয়াউর রহমান ওই জাহাজ থেকে অস্ত্র নামাতে গিয়েছিল বলে মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, “তাকে (জিয়াউর রহমান) পথেই বাধা দিয়েছিল, যারা প্রতিরোধ গড়েন সেই সাধারণ জনগণ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।”
বন্দরের কারশেডে অনুষ্ঠানে বন্দরের ভবিষ্যতের চাহিদা মেটাতে বে টার্মিনাল নির্মানের দাবি জানান চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি মাহবুবুল আলম।
অনুষ্ঠানে নৌ পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, আট বছরে লয়ডস লিস্টে চট্টগ্রাম বন্দর ২২ ধাপ এগিয়েছে। অবস্থান আরও শক্তিশালী হচ্ছে।
“কক্সবাজারের সোনাদিয়ায় গভীর সমুদ্র বন্দরের কাজ শীঘ্রই শুরু হতে যাচ্ছে। এর মাধ্যমে ব্লু ইকোনমি শক্তিশালী হবে।”
অনুষ্ঠানের শুরুতে বন্দরের বিভিন্ন কার্যক্রম এবং চলমান প্রকল্প ও ভবিষ্যত পরিকল্পনা তুলে ধরেন বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম খালেদ ইকবাল।
অনুষ্ঠানে বন্দরের বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়ে তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
উপস্থিত ছিলেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, সাংসদ এম এ লতিফ, মোস্তাফিজুর রহমান, নজরুল ইসলাম ও মমতাজ বেগম।
পোর্ট এক্সপোতে বন্দরের বিভিন্ন বিভাগ, বাংলাদেশ নৌবাহিনী, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ, চিটাগাং ড্রাই ডক, বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, পাঁচ তারকা হোটেল রেডিসন ব্লু, বেসরকারি বার্থ অপারেটর সাইফ পাওয়ার টেক, বেসরকারি জাহাজ নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান ওয়েসটার্ন মেরিনসহ বিভিন্ন সেবাদাতা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে।