দুই মামলায় রেলের মৃধার ৪ বছরের সাজা

সহকারী কেমিস্ট ও ফুয়েল চেকার পদে নিয়োগ দুর্নীতির দুই মামলায় পূর্ব রেলের সাবেক জিএম ইউসুফ আলী মৃধাসহ তিন আসামিকে মোট চার বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 April 2017, 06:32 AM
Updated : 27 April 2017, 09:07 AM

চট্টগ্রামের বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মীর রুহুল আমিন বৃহস্পতিবার এ দুই মামলার রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে তিনজনকে চার বছর কারাদণ্ডের পাশাপাশি ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিনমাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয় বলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী জানান।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- পূর্ব রেলের সাবেক সিনিয়র ওয়েলফেয়ার অফিসার গোলাম কিবরিয়া, সাবেক অতিরিক্ত প্রধান যন্ত্র প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান চৌধুরী ও পূর্ব রেলের সাবেক জিএম ইউসুফ আলী মৃধা। তাদের উপস্থিতিতেই আদালত রায় দেয়।

এছাড়া দুর্নীতিতে সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত দুই মামলা থেকে পাঁচজনকে খালাস দিয়েছে বলে জানান মেজবাহ।

সহকারী কেমিস্ট পদে নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় আসামি ছিলেন মোট ছয় জন। তাদের মধ্যে নিয়োগপ্রার্থী সুলতানা বেগম, জহিরুল ইসলাম ও গণেশ চন্দ্র শীল খালাস পেয়েছেন।

আর ফুয়েল চেকার পদে নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় মোট পাঁচজন আসামি ছিলেন। তাদের মধ্যে নিয়োগপ্রার্থী আবুল কাশেম ও আনিসুর রহমানকে আদালত খালাস দিয়েছে।

প্রতিটি মামলায় ১৮ জনের সাক্ষ্য শুনে আদালত এই রায় দিয়েছে বলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জানান।

২০১২ সালের ৯ এপ্রিল মধ্যরাতে ঢাকায় বিজিবি সদর দপ্তরে সাবেক রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের সহকারী ওমর ফারুক তালুকদারকে বহনকারী গাড়িতে বিপুল পরিমাণ টাকা পাওয়ার ঘটনায় ব্যাপক তোলপাড় শুরু হলে ওই গাড়িতে থাকা ইউসুফ আলীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। চাকরিচ্যুত হন রেলমন্ত্রীর সহকারী ফারুকও।

বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের খবরে সে সময় বলা হয়, ওই গাড়িতে ৭০ লাখ টাকা ছিল, যা আদায় করা হয়েছে রেলে ‘নিয়োগ বাণিজ্যের’ মাধ্যমে।

এরপর ২০১০ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে রেলওয়েতে বিভিন্ন পদে নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানায় ইউসুফ আলী মৃধার বিরুদ্ধে ১৪টি মামলা করে দুদক।

এর মধ্যে ২০১৩ সালের ১৩ অগাস্ট ফুয়েল চেকার পদের মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দেন মামলার বাদী ও তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের তখনকার সহকারী পরিচালক এস এম রাশেদুর রেজা।

এরপর ২০১৪ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি এ মামলায় পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আদালত।

এর আগে ২০১৩ সালের ১৮ অগাস্ট সহকারী কেমিস্ট পদের মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। ২০১৪ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি আদালত অভিযোগ গঠনের মধ্যে দিয়ে এ মামলার বিচার শুরু করে।

২০১৪ সালের ৩ মার্চ আদালতে আত্মসমর্পণ করলে ইউসুফ আলী মৃধাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

সবশেষ গত বছরের ৩ অগাস্ট অবৈধ সম্পদ অর্জনের একটি মামলায় ঢাকার আদালতে তিন বছরের সাজা হয় মৃধার।